তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সমগ্র রাজ্যবাসীর। গত কয়েকদিনে উষ্ণতার পারদ ৪০ থেকে ৪৪ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। চরম উষ্ণতার সঙ্গে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় আরও কষ্ট অনুভব করছেন মানুষ। গ্রীষ্মের দাবদাহে শহরে বেড়েছে জলের চাহিদা। শহরের ৫টি জল শোধনাগারে প্রতিদিন সর্বাধিক পানীয় জল উৎপাদন সত্ত্বেও জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ বিভাগ এক সপ্তাহ ধরে ১০০টিরও বেশি জলের ট্যাঙ্কার পাঠাচ্ছে। মূলত যে সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা টিউবওয়েলের জলের ওপর নির্ভর করে আছেন সেই সমস্ত এলাকায় এই জল সরবরাহ করা হচ্ছে।
পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের একজন অধিকারিক জানিয়েছেন, গার্ডেন রিচ এবং ধাপা সহ তিনটি বড় শোধন কেন্দ্রে পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটি গ্যালন পানীয় জল উৎপাদন করছে। এর পাশাপাশি জোড়াবাগান এবং ওয়াটগঞ্জে আরও দুটি ছোট জল শোধনাগার থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল উৎপাদন করা হচ্ছে। কিন্তু, ভূগর্ভস্থ জলের স্তর হ্রাস পাওয়া এবং জলের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বেহালা, টালিগঞ্জ, যাদবপুর, বাঘাযতীন, পাটুলি, গড়িয়া, কসবার বড় অংশে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হচ্ছে। গড়ফা এবং ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসেও জলের চাহিদা মেটাতে পাঠানো হচ্ছে ট্যাঙ্কার। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৪ থেকে ৫ দিন আগেও শহরের টিউবওয়েল জোনে প্রায় ৬০টি জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছিল। এখন সেই সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই চাহিদা বাড়ছে। এই সমস্ত এলাকাগুলিতে যতটা সম্ভব জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হচ্ছে বলে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন।
মুকুন্দপুরের এক বাসিন্দার কথায় গত চার দিনে ভূগর্ভস্থ জল মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় টিউবওয়েল থেকে জলের সরবরাহ কমে গিয়েছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা পানীয় জল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সন্তোষপুরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, এখনও পানীয় জলের সংকট দেখা দিচ্ছে। জলের চাহিদা মেটাতে আরও বেশি করে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো উচিত৷
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup