দুর্গাপুজো মিটে যাওয়ার পর আলো খুলে ফেলা হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় খুলে ফেলা হয়েছে পুজোমণ্ডপ। তাই বিজ্ঞাপন সংস্থার হোর্ডিং লাগানো থাকায় দেখতে খারাপ লাগছে শহরকে। তাই বাঁশের কাঠামোয় লাগানো বিজ্ঞাপন খুলে ফেলেছেন পুরসভার কর্মীরা। বিজ্ঞাপন ফি’র তিনগুণ জরিমানা করেছে পুরসভা। জরিমানার চিঠি পাঠানো হয়েছে।
Ad
কলকাতা পুরসভা।
দুর্গাপুজোর আগেই বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল কলকাতা পুরসভা। সেই নির্দেশিকা সকল বিজ্ঞাপন সংস্থাকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্গাপুজো শেষ হয়ে লক্ষ্মীপুজো মিটে গেলেও অস্থায়ী হোর্ডিং শহরের বুক থেকে সরানো হয়নি বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। বহু জায়গায় তাই খোলা হয়নি দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে লাগানো অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের বোর্ড। আর তাই শহরের নানা প্রান্ত থেকে ৬০০’র বেশি অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ব্যানার খুলে ফেলল কলকাতা পুরসভা। আর পাঠানো হয়েছে জরিমানার চিঠি।
এখন কালীপুজো আসার সময় হয়ে গিয়েছে। তারপরও কলকাতার নানা জায়গায় বহাল তবিয়তে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুজো সংক্রান্ত বহু অস্থায়ী বিজ্ঞাপন। সুতরাং দুর্গাপুজোর শুরুতে বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হলেও তাতে কাজ হয়নি বুঝতে পারছে কলকাতা পুরসভা। দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার দশদিনের মধ্যেই সমস্ত বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং–ব্যানার খুলে ফেলার নির্দেশ মানেননি অনেকেই। তাই নির্দেশ না মানা সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। খুলে ফেলা হচ্ছে সেই সব বিজ্ঞাপন হোর্ডিং।
আর কলকাতা পুরসভার নির্দেশ অমান্য করার জেরে ২৫টি বিজ্ঞাপন এজেন্সিকে বিজ্ঞাপন ফি’র তিনগুণ জরিমানা করেছে পুরসভা। একইসঙ্গে ওইসব এজেন্সিদের জরিমানার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার এই পদক্ষেপে চাপ বেড়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির। এখনও যেসব জায়গায় অস্থায়ী বিজ্ঞাপন আছে সেসব খুলে ফেলতে টানা অভিযান চালাবে কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত উল্টোডাঙা, ইএম বাইপাস, এক্সাইড থেকে টালিগঞ্জ মেট্রো পর্যন্ত এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, হাতিবাগান, রুবি থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬০০র বেশি হোর্ডিং–ব্যানার খোলা হয়েছে।