এখন বিষাদের সুর বাঙালির মননে। বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। দশমীতে বাড়ির ঠাকুরই বেশি বিসর্জন হতে দেখা যায় কলকাতায়। একাদশী থেকে ক্লাবগুলির নিরঞ্জন পর্ব চলতে থাকে। তবে বিসর্জন পর্ব চলবে ৫ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। আজ, বুধবার দশমীর সকালেও রাস্তায় উৎসবপ্রেমী মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। রাত জেগে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছেন দলে দলে মানুষ। আবার ভোর ভোর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকে। শেষবেলায় ফাঁকায় ফাঁকায় প্রতিমাদর্শন সেরে নিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে বিসর্জন নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ।
কেমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্রেন থেকে স্বেচ্ছাসেবক, সবকিছুর বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিসর্জন শুরু হবে বলেই খবর। সব কিছু যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য কোথাও কোনও খামতি রাখতে নারাজ পুরসভা। এমনকী যাতে প্রতিমা নিরঞ্জনে গঙ্গা দূষণ না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার একাধিক স্বেচ্ছাসেবক একদিকে প্রতিমা নিরঞ্জনে সাহায্য করবে, অন্যদিকে গঙ্গার দূষণ রুখতে পদক্ষেপ করবে।
কলকাতা পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গঙ্গার ২৯টি ঘাট এবং আদিগঙ্গার ৫টি ঘাটে কড়া পুলিশের নজরদারি রাখা হচ্ছে। আবার শহরের ৩৫টি জলাশয়েও থাকছে বিশেষ নজরদারি। বাগবাজার, নিমতলা, বাজা কদমতলা এবং গোয়ালির ঘাটে স্পিড বোটে ২টি ডিএমজি টিম মোতায়েন থাকবে। এই টিমগুলি আবার সাঁতারে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।