প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা নিয়ে প্রতারণা ও ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলায় তৎক্ষণাৎ এফআইআর করে ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে তলব এফআইআর দায়ের করা হল। মামলার সমস্ত তথ্য নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি।
এই মামলায় প্রথম থেকে ইডিকে তদন্তে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণে হেয়ার স্ট্রিট থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও হেয়ার স্ট্রিট থানা এফআইআর করেনি। এর জন্য ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় এজলাসে হাজির হয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি। শুক্রবার বিকাল ৩টে নাগাদ ওসিকে হাজিরা দিতে বলা হয়। যদিও পরে ওসিকে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও হেয়ার স্ট্রিট থানারা ওসি আদালতে হাজির থাকেন।
ইডির পাশাপাশি 'সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস' (এসএফআইও)-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত বলে প্রয়োজনে এসএফআইও ওই সংস্থার পাঁচ ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে নামতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আদালতে এদিন পাঁচ ডিরেক্টর হাজির ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে শেরিফের অফিসে বসিয়ে রাখার নির্দেশ দেয় কোর্ট।
বিচারপতি মনে করেছেন এই দুর্নীতির সঙ্গে পাটশিল্পের বড় মাথা জড়িয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন,'তাঁরা আমাকে বদলিও করতে পারেন। তবু আমি চাই আসল অপরাধীরা ধরা পড়ুক।' ২১ কোটি টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া রয়েছে বলে সংস্থার কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
যে পাঁচজন ডিরেক্টরকে আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন বিচারপতি তাঁদের কাছে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চান। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,'সংস্থার সম্পর্কে এই পাঁচ ডিরেক্টর কিছুই জানেন না। তার ধারনাও নেই সংস্থা সম্পর্কে। এঁরা সবাই জুট মিলের সুপারভাইজার থেকে ডিরেক্টর হয়েছেন। সংস্থাগুলি প্রাইভেট লিমিটেড, নাকি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, সে সম্পর্কেও পাঁচজন কিছুই জানেন না।'
যে পাঁচজন ডিরেক্টরকে আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন বিচারপতি তাঁদের কাছে বেশ কয়েকটি বিষয় জানতে চান তিনি। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,'সংস্থার সম্পর্কে এই পাঁচ ডিরেক্টর কিছুই জানেন না। তার ধারনাও নেই সংস্থা সম্পর্কে। এঁরা সবাই জুট মিলের সুপারভাইজার থেকে ডিরেক্টর হয়েছেন। সংস্থাগুলি প্রাইভেট লিমিটেড, নাকি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, সে সম্পর্কেও পাঁচজন কিছুই জানেন না।'
ওই পাঁচজনের আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে জানান বিচারপতি। তাঁর আশঙ্কা, ওই ব্যক্তি সামনে রেখে কেউ বা কারা পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। তিনি বলেন, ‘ চাইলে তাঁরা পদত্যাগ করতে পারেন। এখনও এঁদের গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন নেই।’ তাঁদের যাতে সম্মানহানি না তাই দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।