করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণও হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তবুও সব মানুষের হুঁশ ফিরছে না বলেই বারবার অভিযোগ উঠছে। পয়লা বৈশাখের দিনও একই অভিযোগ উঠল কালীঘাট মন্দির চত্বরে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, ঠাসাঠাসি ভিড়ের মধ্যেও অনেকের মুখে মাস্ক নেই। কারও মাস্ক ঝুলছে থুতনিতে। কারও আবার মাস্ক ভাঁজ করে পকেটে রাখা৷ কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্যে প্রতি বছর রাত থেকেই লাইন দেন ভক্তরা। সকাল হতেই সেই লাইনের দৈর্ঘ্য আরও বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়ে পুলিশের তৎপরতা, পুরোহিতদের ব্যস্ততা। পয়লা বৈশাখে কালীঘাট মন্দিরের এটাই চেনা ছবি৷ তবে গত বছর করোনার কারণে বাঙালিকে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছিল এই দিনটিতে৷ বন্ধ ছিল কালীঘাট মন্দিরও। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে শহরে। তা সত্ত্বেও মন্দিরে পুজো দিতে পেরেছেন পুণ্যার্থীরা৷ ডালা-মিষ্টির দোকানও বসেছিল৷ আর সেইসব ছবি করোনা আবহে নতুন করে আশঙ্কা বাড়িয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে, বহু পুণ্যার্থীরা করোনা বিধি উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ অবশ্য দূরত্ব বিধি মেনে চলার চেষ্টা করেছে। করোনা বিধি মেনেই মন্দিরে সব কিছু করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে৷ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, সবাইকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এদিন সকলের জন্য স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয় মন্দির চত্বরে। এমনকী মন্দিরে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্রিনিং-ও করা হয়েছে। মন্দিরের সামনে মূল রাস্তা অর্থাৎ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিকে এবার লাইন দিতে দেওয়া হয়নি।