ওই ব্যবসায়ীর নাম যোগেশ আগরওয়াল। মুদিয়ালিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। সেখানে ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক তল্লাশি অভিযান চালান। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর একাধিক নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। এদিন তাঁর বাড়িতে অভিযানে একজন মহিলা সহ ইডির তিনজন আধিকারিক অভিযান চালান।
এই অফিসে ইডি হানা। নিজস্ব ছবি।
মঙ্গলবারের পর বুধবারও ইডি হানা অব্যাহত থাকল। আজ বুধবার সকালে কলকাতার মুদিয়ালির এক ব্যবসায়ী বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত আর্থিক তছরূপ মামলায় গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সেই দুর্নীতির যোগেই আজ সকালে কলকাতার ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। এদিন ইডির দুটি দল শহরে হানা দেয়। ইডি আধিকারিকদের আরও একটি দল হানা দেয় বিধান সরণিতে ওই ব্যবসায়ীর অফিসে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম যোগেশ আগরওয়াল। মুদিয়ালিতে তাঁর বাড়ি রয়েছে। সেখানে ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক তল্লাশি অভিযান চালান। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর একাধিক নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। এদিন তাঁর বাড়িতে অভিযানে একজন মহিলা সহ ইডির তিনজন আধিকারিক অভিযান চালান। ব্যবসায়ীর নথিপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন ইডির সদস্যরা। অন্যদিকে, আরও একটি দল তাঁর বিধানসরণির বাড়িতে হানা দেয়। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীর রিয়েলএস্টেট, ফিন্যান্স এবং মোটর প্রশিক্ষণ স্কুলের ব্যবসা আছে।
জানা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ীর মোটর ট্রেনিং কোম্পানির নাম হল লালা ভগবানদাস মোটর ট্রেনিং স্কুল। যোগেশ আগরওয়াল এই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। ইডি সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে যে গাড়িটি পাওয়া গিয়েছিল সেই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন করেছিল মুদিয়ালির এই কোম্পানি। অর্থাৎ হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে পাওয়া ওই গাড়িটি নথিভুক্ত মুদিয়ালির এই কোম্পানির নামে। সেক্ষেত্রে, মোটর ট্রেনিং স্কুলের আড়ালে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা? ওই ব্যবসায়ী ঝাড়খণ্ডে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা? তদন্ত করে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছে ইডি।