সাধারণত পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিটি গাড়িতে ধোঁয়া পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গাড়িকে ধোঁয়া পরীক্ষা করিয়ে শংসাপত্র নিতে হয়। সেই ধোঁয়া পরীক্ষার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। মূলত কারচুপি রুখতে এই পদক্ষেপ। আর এবার ধোঁয়া পরীক্ষা বাবদ খরচেও পরিবর্তন আসতে চলেছে। এতদিন ধোঁয়া পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুব বেশি খরচ হত না। তবে এবার সেই খরচ বাড়তে চলেছে। জানা যাচ্ছে, ধোঁয়া পরীক্ষার খরচ বাড়ানোর জন্য লোকসভা ভোটের আগেই অর্থদফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল পরিবহণ দফতর। তাতে সায় দিয়েছে অর্থ দফতর। ফলে দ্রুত ধোঁয়া পরীক্ষার খরচ বাড়তে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে এই খরচ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া পরীক্ষাকেন্দ্রে কারচুপি রুখতে নয়া সফটওয়্যার আনছে পরিবহণ দফতর
ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কারচুপি রুখতে পদ্ধতিগত বদল করা হচ্ছে। এরজন্য ন্যাশনাল ইনফরমটিক্স সেন্টার (এনআইসি)-এর প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে। এর জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ থাকছে। সেই অ্যাপ প্রতিটি ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের যাবতীয় তথ্য সেখানে আপলোড করতে হবে। কোনও গাড়ি ধোঁয়া পরীক্ষা করলে সেই গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি, গাড়ির ছবি এবং ধোঁয়া পরীক্ষার ভিডিয়োও সেখানে আপলোড করতে হবে।জানা যাচ্ছে, নয়া এই ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় হবে। সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ রাজ্যের রাজস্ব আদায় হবে এবং বাকি টাকা পাবে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি।তবে নয়া এই ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কারচুপিও বন্ধ হবে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর।
পরীক্ষার খরচ কত বাড়তে পারে?
সাধারণত আগে চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে ধোঁয়া পরীক্ষায় খরচ ছিল ১০০ টাকা। তবে তা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হতে পারে। তিন চাকার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে খরচ বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হতে পারে। বাইক ও স্কুটারের ক্ষেত্রে ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকা এবং পণ্যবাহী ও ট্রাকের ক্ষেত্রে খরচ দ্বিগুণ হতে পারে। অর্থাৎ গাড়ির আকার এবং বহনের উপর নির্ভর করে এই খরচ বাড়বে। আর এই খরচের সঙ্গে থাকবে জিএসটি। ফলে ধোঁয়া পরীক্ষা করার জন্য একলাফে খরচ অনেকটাই বাড়তে চলেছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বেশি রাজস্ব আদায়ের জন্যই কি খরচ বাড়াতে চায় পরিবহণ দফতর? তবে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শুরু রাজস্ব আদায় নয়, নয়া ব্যবস্থায় ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে না। সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া, কোনও ক্ষেত্রে ত্রুটি বা গাফিলতি ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।