কড়া পদক্ষেপের কারণ হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক দফতরে গিয়ে দেখেছেন সরকারি কর্মচারীরা ঠিকমত আসছেন না। এমনকী কয়েকজন দফতরের প্রধান এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ ঠুকেছেন। একদিকে ডিএ নিয়ে কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন, অন্যদিকে বেলা ১২টা বেজে গেলেও অনেক কর্মচারী অফিসে আসছেন না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি নিজে দু’বার সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিলেন। সেটা বেশ কিছুদিন আগে। তখনই তিনি দেখেছিলেন দফতরে কর্মীর সংখ্যা কম। দেরি করে অফিসে আসছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ এসে সই করে চলে যাচ্ছেন। দুপুর ১২টাতেও উপস্থিতির হার কম। এই দৃশ্য দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরা বাড়াতে পুরনো প্রথা বিলোপ করে নতুন ধাঁচে নিয়ে আসে হচ্ছে অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম। নবান্নে এটাই এখন জোর খবর।
কেমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, পুরনো প্রথা এবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবর্তে নিয়ে আসা হচ্ছে ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম মেশিন। এটাই নবান্নের প্রত্যেক ফ্লোরে বসানো হচ্ছে। ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম মেশিনেই এবার থেকে উপস্থিতির হার জানা যাবে। আর এই প্রযুক্তিকে ফাঁকি দেওয়া অসম্ভব। তাতে একদিকে উপস্থিত করা যাবে সরকারি কর্মচারীদের। আবার কর্মসংস্কৃতিও ফিরবে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর মেশিন বসানো নিয়ে এখন নবান্নের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বুধবার থেকে সরকারি সংস্থা ওয়েবেল সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের ছবি তুলতে শুরু করবে। আর সেই ছবি থাকবে ওই মেশিনের মধ্যে। সুতরাং অফিসে ঢুকলেই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে চিনে নেবে অ্যাটেনডেন্সের নয়া এই ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম মেশিন। আর এই মেশিন বলে দেবে প্রত্যেক তারিখে কতজন সরকারি কর্মচারী দফতরে উপস্থিত ছিলেন। এই মেশিনের পোশাকি নাম ফেসিয়াল বায়োমেট্রিক মেশিন। এতদিন নবান্নে শুধু বায়োমেট্রিক মেশিন ছিল। এবার সেখানে বসছে ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম মেশিন।