গুজরাতে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ ওঠার পর এবার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া দিল্লি থেকে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে ওই সংস্থার বিভিন্ন কেন্দ্রে আবাসিক প্রায় ২২ হাজার মানুষের অন্নসংস্থান সংকটের মুখে বলে মনে করা হচ্ছে। এব্যাপারে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদর দফতর মাদার হাউজ।সপ্তাহদুয়েক আগে গুজরাতের ভদোদরায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখায় জোর করে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরণ ও হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের হয় শহরের মকরপুরা থানায়। তার পর থেকে তদন্ত চালাচ্ছে গুজরাত পুলিশ। তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ার সঙ্গে তার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা জানা যায়নি।দায়ের অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখায় হিন্দু তরুণীদের জোর করে বাইবেল পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। বাধ্য করছেন সেখানকার সন্ন্যাসিনীরা। তাদের খ্রিস্ট মতে খ্রিস্টান পরিবারে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকী নিরামিষভোজী ওই তরুণীদের আমিষ খেতে বাধ্য করছেন সন্ন্যাসিনীরা। যদিও সংস্থার তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা হয়নি। সন্ন্যাসিনীদের অনুসরণ করে নিজে থেকেই খ্রিস্ট রীতি মানতে অনুরোধ করেছেন তরুণীরা।কেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন ফ্রিজ হয়েছে তা জানায়নি কেন্দ্র। এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় ২২ হাজার আবাসিক থাকেন। তাঁদের চিকিৎসা ও ভরনপোষণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল সংস্থার ওপর। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবনধারণে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।