শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গুরু পাচার কাণ্ডের মধ্যেই বাংলায় আরও একটি বড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেটি হল সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি। দুর্নীতির গন্ধ পেয়েই এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি গত শনিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তা নিয়ে আজ সোমবার একটি টুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, ‘তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল দ্বারা পরিচালিত একটি রাজ্যে এইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে লাভের জন্য চেপে দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন শুভেন্দু, যাদবপুর কাণ্ডে নয়া মোড়
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির জাল অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সংখ্যালঘু স্কলারশিপের জন্য জাতীয় পোর্টালে যে আবেদন করা হয়েছে তার মধ্যে ৮৩০ টি প্রতিষ্ঠান থেকে জাল আবেদন সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে ১৪৪.৮৩ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এরকম ৩৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্ররা এই ধরনের স্কলারশিপ পেয়েছে তা জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্কলারশিপের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের আবেদন যাচাই করার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একজন করে নোডাল অফিসার থাকার প্রয়োজন। সেই নোডাল অফিসারের অনুমোদন মিললেই স্কলারশিপ পেয়ে যান সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য যারা নোডাল অফিসার হিসেবে ছিলেন তারা সকলেই তৃণমূলের নেতা। আর সেই কারণেই এই সমস্ত আবেদন সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল বলে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলের এই সমস্ত নেতারা কোটি কোটি টাকা লুট করার সঙ্গে জড়িত।