
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পাহাড়ে - অর্থাৎ - গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) -এর আওতাধীন এলাকায় যেভাবে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হয়, তার প্রক্রিয়াটি ঠিক কেমন? সেই প্রক্রিয়া কি রাজ্যের অন্যান্য অংশের থেকে আলাদা? আজ - সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) কার্যত এই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুধু তাই নয়, পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে এসএসসি-র নিয়মের তোয়াক্কা করা হয় না, কার্যত সেই অভিযোগও তোলা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মতামত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের কাছে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে প্রশ্ন রাখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়, 'আমি দেখেছি পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও প্রক্রিয়া মানা হয় না। সারা রাজ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু পাহাড়ে কেন হয় না? পাহাড়ে কি এসএসসি রয়েছে? তারা কি কাজ করে?'
সূত্রের দাবি, উচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সমতলের শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতির সঙ্গে পাহাড়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনও মিলই নেই! কেন এই বৈপরীত্য, সেই প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী, ভরা এসলাসে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশও করেন।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ে নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার প্রসঙ্গেই উপরোক্ত প্রশ্নগুলি তোলেন বিচারপতি বসু। আদালতের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজনে এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে একজন আদালত বান্ধবকে নিয়োগ করা হবে। পাহাড়ে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় এবং কোন নিয়ম মেনে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, সেই বিষয়ে আদালত বান্ধবের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
এদিকে, এদিন রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, পাহাড়ের ওই নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি বিচারপতি বসুর এজলাসে করা যাবে না। কারণ, এই মামলার এজলাস বদলে গিয়েছে।
যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বসুর বক্তব্য ছিল, এর আগেই পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় তিনি (তাঁর এজলাসের তরফে) সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাহলে এখন ওই একই ধরনের মামলা অন্য এজলাসে করা যাবে কিনা, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্ট করে তার বক্তব্য জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মার্চ মাসে।
প্রসঙ্গত, জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে মামলায় বিচারপতি বসু সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মামলায় সিআইডি-র তদন্তের গতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বসু জানান, প্রয়োজনে এক্ষেত্রে আদালত বান্ধব নিয়োগ গোটা বিষয়টি তাঁকে দেখতে বলা হবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports