বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court on Blue-White Colour of Road: মমতার প্রিয় নীল-সাদা রঙ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরবর্তী খবর
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রতিষ্ঠান থেকে রাস্তায় নীল-সাদা রঙ করা হয়েছে। এই নিয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। এই আবহে ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। এই হলফনামা পেশের জন্যে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, বাংলার বাতিস্তম্ভ থেকে সেতু এবং সড়ক থেকে ভবন নীল–সাদা রঙ দেখতে পাওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় রঙ নীল-সাদা। (আরও পড়ুন: খিদে বাড়ল চিনের, পদ্মার ইলিশ নিয়ে 'চিন্তা' বাড়বে এপার বাংলার খাদ্যরসিকদের?)
আরও পড়ুন: ৪৬ নং রুটে বন্ধ থাকল বাস, কী ঝামেলার জেরে রাস্তায় গড়াল না চাকা?
আরও পড়ুন: গরম বাড়তে চলেছে, কলকাতার আকাশে দেখা দেবে মেঘ, বাংলার কোথায় হবে বৃষ্টি?
উল্লেখ্য, ভারতীয় রোড কংগ্রেসের তরফ থেকে রাস্তায় সাদা, কালো এবং হলুদ রঙ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এই আবহে কেন কলকাতা এবং বাংলার বিভিন্ন রাস্তায় নীল-সাদা রঙ করা হয় ডিভাইডার এবং রেলিংয়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলাটি শুনছে আদালতের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং জাস্টিল চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে পাঁচ সপ্তাহ পরে। সরকার পক্ষ তিন সপ্তাহ পরে হলফানামা জমা দিলে মামলাকারীকে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার জন্যে মামলাকারীকে ২ সপ্তাহ সময় দেওয়াব হবে। (আরও পড়ুন: 'বিহারিদের সিভিক সেন্স নেই' বলে সাসপেন্ড শিক্ষক,বলেছিলেন- 'কলকাতা পছন্দ করে না…')
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন দলের নাম চূড়ান্ত, মাথায় সেই নাহিদ, সারজিস-হাসনাতরা কোন পদে?
আরও পড়ুন: রহস্যজনক ভাবে হোটেল ঘরে মৃত্যু TMC বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী, সঙ্গে থাকা মহিলা আটক
উল্লেখ্য, জনস্বার্থ মামলার মামলাকারীর অভিযোগ, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় প্রবেশ করা এবং শহরের নানা রাস্তার গার্ডরেল যে নীল–সাদা রঙ করা হয়েছে সেটার জেরে রাতের শহরে পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে। কারণ অন্ধকারে ওই নীল–সাদা রঙ গাড়ির চালকরা বুঝতে পারেন না। হলুদ বা সাদা–কালো রঙ করা হলে তা চালকদের পক্ষে সুবিধাজনক হয়। এদিকে এর আগে এই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'ভাগ্যিস জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ হাইকোর্টের নজরদারিতে হচ্ছিল, না হলে ওখানেও তো আপনারা নীল–সাদা রঙ করে দিতেন!'