হাতে আর ১২ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দুর্গোৎসব। বাংলার আপামর জনসাধারণ মেতে উঠবে উৎসবে। এই উৎসবকে সামনে রেখে এখন শহর থেকে গ্রামে সাজসাজ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে দুর্গাপুজোর মুখে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশিকায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নগরপাল মনোজ ভার্মা নিজে স্বাক্ষর করেছেন সেই নির্দেশিকায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় দুর্গাপুজোর সময় জমায়েত করা যাবে না। বউবাজার, ধর্মতলা, হেয়ার স্ট্রিট –সহ একাধিক জায়গায় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তা নিয়ে আজ, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চাইল, ‘কতদুর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা?’ রাজ্য়ের কাছে এবার এই তথ্য জানতে চাইল হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি সোমবার।
এদিকে এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঁচজনের বেশি এক জায়গায় থাকতে পারবেন না। দুর্গাপুজোয় জনস্রোত দেখতে অভ্যস্ত কল্লোলিনী কলকাতা। সেখানে এমন ঘটনা কেমন করে সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলে মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এবার তার জেরে রাজ্য সরকারকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল উচ্চ ন্যায়ালয়ে। মহানগরীতে জমায়েত নিয়ে কলকাতার পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ আছে কিনা, সেটা পরবর্তী শুনানিতে জানানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলা চত্বরে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জমায়েত করা যাবে না। পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে চলাফেরা, জমায়েত করা যাবে না। ফলে দুর্গাপুজো কীভাবে হবে? প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি কি বন্ধ? এই প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে প্রায় ৬ হাজার বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল, পর্যটকদের জন্য বড় সুখবর