আইবি’র ভুয়ো গোয়েন্দা অফিসার সেজে মুক্তিপণ আদায়ের দুষ্কৃতীদের যাবতীয় ছক ভেস্তে দিল পুলিশ। কল্যাণীর অপহৃত ব্যবসায়ীকে এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করলেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কল্যাণীর এই অপহরণ কাণ্ডের কিছুদিনের মধ্যেই কিনারা করল পুলিশ। কল্যাণীর ব্যবসায়ীকে অক্ষত অবস্থায় এয়ারপোর্ট এলাকার একটি ব্যাঙ্কোয়েট থেকে উদ্ধার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ধৃতদের এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজত চাইবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে আইবি’র ভুয়ো গোয়েন্দা অফিসার সেজে কল্যাণীর সুজয় বিশ্বাস নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় অভিযুক্তরা। তারপর তাঁকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে দমদমে নিয়ে আসে তারা। এরপর ব্যাবসায়ীর পরিবারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা। অবশ্য মুক্তিপণ আদায়ের আগেই পাকড়াও করা হয় দুষ্কৃতীদের।ঘটনার তদন্তে নেমেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
ব্যবসায়ীর অভিযোগ, নিজেদের আইবির অফিসার পরিচয় দিয়ে হুড়মুড়িয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। তার পর তাঁকে অপহরণ করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তারা। এয়ারপোর্টের কাছে তাঁকে একটি জায়গায় বন্দি করে রাখা হয়। পরে ওই ব্যাবসায়ীর পরিবারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা। অপহরণকারীরা তাঁর পরিবারকে জানায়, পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাঁকে ছাড়া হবে না। পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে, মুক্তিপণের টাকা চেয়ে ব্যবসায়ীর পরিবারকে বারবার চাপ দিতে থাকে অপহরণকারীরা। তবে তাদের সেই প্রচেষ্টা বিফলে গিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ এয়ারপোর্ট থানা এলাকার একটি ব্যাঙ্কোয়েট থেকে সুজয়কে উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণকারীরা সকলেই গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে সুজয়বাবুকে বাড়ি থেকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হল? নিছকই টাকা আদায়ের লক্ষ্য নাকি পুরনো কোনও শত্রুতার জের? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন আইনজীবীও রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ীকে নিরাপদে কল্যাণীর বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।