রাত পোহালেই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সোমবার মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বন্ধ থাকবে এই মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির পরিষেবা। তার জেরে আগত মৃতদেহ সমস্যায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শবদাহের জন্য মোট ছটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। সেগুলিতে আগামীকাল, সোমবার কাজ হবে। ফলে এখানে তখন যদি মৃতদেহ আসে তাহলে কাঠের চুল্লিতে দাহ করতে হবে।
এদিকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি বন্ধ থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত। তখন সেখানে রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। টালিগঞ্জ রোড লাগোয়া এই মহাশ্মশানে প্রত্যেকদিনই মৃতদেহ দাহের চাপ থাকে। তার জেরে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই তা মেরামত করতে বন্ধ রাখা হবে বৈদ্যুতিক চুল্লির পরিষেবা। এই পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। কারণ কাঠের চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করলে তা বায়ু দূষণ ঘটবে। এই বিষয়ে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা সাংসদ মালা রায়ও খবর পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বপ্ন কেমন করে বাস্তব হল? ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সাফল্যকে প্রচারে নিয়ে এল তৃণমূল
অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, যে ৬টি বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে সেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক চুল্লিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এখনই তা ঠিক করা না হলে ওইসব চিমনিগুলি দিয়েই প্রচুর পরিমাণে দূষিত কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসবে। কেওড়াতলা মহাশ্মশান কলকাতার একটি বৃহৎ এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্মশানঘাট। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট অঞ্চলে কালীঘাট মন্দিরের অদূরে আদিগঙ্গার বাঁদিকে এই শ্মশান অবস্থিত। কলকাতার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে এই শ্মশানের আধুনিকীকরণ করা হয়।
এছাড়া এই মহাশ্মশান প্রাঙ্গণে অবস্থিত কলকাতার প্রথম মেয়র দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সমাধিসৌধ কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে রানী রাসমণিকে দাহ করা হয় বলে কথিত আছে। এমনকী সমগ্র শ্মশানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ছোট–বড় স্মৃতিফলক ও স্মৃতিসৌধ। কেওড়াতলা মহাশ্মশানের সর্বজনীন শ্মশানকালীর পুজো খুব বিখ্যাত। এই মহাশ্মশানই সোমবার বন্ধ থাকবে প্রায় ৯ ঘণ্টা। তখন কেমনভাবে সবটা সামলানো যায় সেটাই এখন দেখার।