জল জীবন মিশন নিয়ে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমান প্রশ্ন উত্থাপিত করে ছিলেন। যার জবাব দেন বিজেপির জলশক্তি মিশনের প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্না। এই প্রকল্পের কাজ কতদূর হয়েছে? তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজ যে ঢিলেমিতে চলেছে সেটা উঠে এসেছে বলে দাবি করলেন বিজেপির আর এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেই সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বের নথি আজ এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন সুকান্ত মজুমদার।
এই নথি তুলে ধরে বাংলার সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির এই সাংসদ। আর এই প্রকল্প সময়ে শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দাবি, জল জীবন মিশনের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তার জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে কাজের নজরদারি করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সময়ে এই কাজে ঢিলেমি পড়েছিল। কারণ তখন কাজ করার ক্ষেত্রে বেশ ভয় ছিল। এখন সেই ভয় নেই। তাই দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। যদিও এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আর একটা সেটব্যাক হল পশ্চিমবঙ্গের। জল জীবন মিশন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ঢিলেমি দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্প চালু হয়েছিল কলের জল গ্রামীণ বাড়িগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তবে এই অগ্রগতি বেশ চিন্তার।’
সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল জীবন মিশন প্রকল্পে কোনও সময় নষ্ট করা বরদাস্ত করবে না বলে প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন। তাই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। রাজ্য সরকার টাকাও খরচ করছে। বরং কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আজ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বের নথি তুলে ধরে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘২০১৯ সালের অগস্ট মাসে যখন এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল তখন ২.১৪ লাখ গ্রামীণ মানুষ কলের জল পেয়েছিলেন। আর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫৩.৬৪ শতাংশ মানুষ বাংলায় কলের জল পরিষেবা পেয়েছেন। এখনও ৪৬.৩৬ শতাংশ কাজ বাকি।’
আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ মিলল মাতলা নদীর চরে, খুন না দুর্ঘটনা? তদন্তে নামল পুলিশ
এছাড়া এই বাকি থাকা অংশের মানুষ এখন বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না বলে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ তুলেছেন। আর তার সঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এই প্রকল্পে জাতীয় গড়ে কাজ হয়েছে ৭৯.২২ শতাংশ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কাজ হয়েছে ৫৩.৬৪ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২০২৬ সালের মধ্যে গোটা কাজটি শেষ করতে হবে। যেখানে অর্ধেক গ্রামীণ বাড়িতে তা পৌঁছয়নি। এই ঢিলেমি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ খলিলুর রহমানের দেওয়া তথ্য থেকেই বিষয়টি তুলে ধরা হল।’