বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন অর্জুন সিং, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের শরীরে কী ঢুকেছে?

রাশিয়ার রাসায়নিক কেমিক্যাল অর্থাৎ বৈদেশিক বিষ তাঁর শরীরে প্রবেশ করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। আর তাই সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আজ, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অ্যাপলো হাসপাতালে পৌঁছন ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। চেয়ারে স্প্রে করা থাকতে পারে রাশিয়ান বিষ। যা শরীরে ঢুকলেই কয়েক মাসের মধ্যে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়বে। এই আশঙ্কার কথা জানান ব্যারাকপুরের দাপুটে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। সিআইডি তাঁকে একটি পুরনো মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। অর্জুন সিংয়ের দাবি, রাশিয়া থেকে আনা হয় সেই বিষ। তাই এবার হাসপাতালে ছুটলেন তিনি।গত বৃহস্পতিবার সিআইডি তলব করেছিল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালে গেলেন বিজেপি নেতা। দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে যান অর্জুন। সেখানে পরীক্ষা হবে শরীরে কোনও বিষ ঢুকেছে কিনা। অর্জুন সিংয়ের আশঙ্কা, সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের সময় চেয়ারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে ওই বিষ। তাই এই চেকআপ করতে আসা। এই বিষয়ে অর্জুন সিং বলেন, ‘এখন প্রযুক্তি অনেক উন্নতি। যাঁরা আমার এই কেমিক্যাল নিয়ে হাসাহাসি করছেন, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আমার কাছে তথ্য আছে বলেই নিশ্চিত হতে হাসপাতালে এসেছি।’আরও পড়ুন: ডিসেম্বর মাস থেকে প্রত্যেক শুক্রবার পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনের জঙ্গল বন্ধ, থাকবে ক্যামেরাব্যারাকপুরের এই বিজেপি নেতা জানান, অ্যাপলো হাসপাতালে তাঁর গোটা দেহের চেকআপ করা হবে। যদি ধরা পড়ে কোনও বিষ তাঁর শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন প্রাক্তন সাংসদ। এমনটাই বলছেন তিনি। অর্জুন সিং নিজের জগদ্দলের বাড়ি থেকে সিআইডির দফতরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন। বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাসায়নিকের তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন অর্জুন সিং। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বক্তব্য, ‘অর্জুন সিংয়ের মাথায় কেমিক্যাল লোচা হয়েছে। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গিয়েছে। ওকে বাইরে ছেড়ে রাখা নিরাপদ নয়। দ্রুত চিকিৎসা দরকার।’অর্জুন সিংয়ের আশঙ্কা শুভেন্দু অধিকারী এবং আরও চারজন বিজেপি নেতাকে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই চারজনের নাম বলেননি তিনি। চার বছর আগে ভাটপাড়া পুরসভার একটি মামলায় অর্জুন সিংকে তলব করেছিল সিআইডি। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সিআইডি মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও তা মেলেনি। অর্জুন সিংয়ের কথায়, ‘চারজন বিজেপি নেতাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাশিয়া থেকে একটি রাসায়নিক কেমিক্যাল বিষ দিয়ে আমাদের মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সিআইডি বা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়ে সেই কেমিক্যাল চেয়ারে স্প্রে করে দিতে পারে। তারপর তিন থেকে ছয় মাস পরে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হতে পারে। কিছু হলে দায় রাজ্য সরকারের।’