ভোটের মুখে ভুরিভুরি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে বিপাকে বিজেপি। ভোটের ফলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারার অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে এসেছে এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। তাই শুধুমাত্র যাদের দরকার তাদের বাদ দিয়ে বাকিদের নিরাপত্তা তুলে নিতে চায় দল। সূত্রের খবর, এব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও বিজেপির সঙ্গে একমত। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নামে। সেই স্রোতে গা ভাসান কয়েকজন বাম নেতা-কর্মীও। আর বিজেপিতে যোগ দিয়েই, এমনকী কখনো যোগ দেওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে যান তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে না পারার অন্যতম কারণ হিসাবে এই বেহিসাবি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাকে দায়ী করছে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ।বিজেপি নেতাদের একাংশের মতে, ভোটের মুখে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তারা হামলার আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন। প্রার্থী হননি এমন নেতাকেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার শর্তেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সমীক্ষা বলছে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পর যারা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ভোটে লড়েছিলেন তাঁদের প্রায় সবাই হেরেছেন। বিজেপির এক রাজ্য নেতার মতে, অত্যাধুন আগ্নেয়াস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিজেপি প্রার্থী গ্রামে গঞ্জে ঘুরে বেড়াচ্ছে এটা মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। তাছাড়া বিজেপির অনেক পুরনো নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান না, আর পেলেও নিতে চান না। সেখানে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ায় দলের অন্দরেও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। তার ওপরে ভোট মেটার পর থেকে দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না সেই সব নেতারা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন, আর কাদের থেকে প্রত্যাহার করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। যাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার হতে চলেছে তাদের আগে থেকেই নিরাপত্তা ছেড়ে দিতে বলা হবে। এতে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না। সেই নিরাপত্তা দেওয়া হবে বিজেপি বিধায়কদের। এব্যাপারে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও।