মানবাধিকার দিবসে টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ‘রাজ্য মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট। এখন গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মৌলিক অধিকার খণ্ডন করা হচ্ছে। মানুষের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।’ আসলে দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন চলছে। কেন্দ্রের বিতর্কিত কালা আইন নিয়ে সরব মমতা। কৃষকদের প্রতি যে আক্রমণ মানিয়ে আনা হয়েছে তা অমানবিক। এই কথা বোঝাতেই মুখ্যমন্ত্রী আজ এমন টুইট করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে রাজ্যে দু’দিনের সফরে এসেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তৃণমূলনেত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে ঘুরে জনসংযোগ করেছেন। কিন্তু তারা বাংলাকে বঞ্চিত করছেন বলে বরাবর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে এসেছেন। আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিনে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘গত সাড়ে ৯ বছরে রাজ্যে ১৯টি মানবাধিকার আদালত তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় একাধিকবার প্রতিবাদ এবং আন্দোলন করেছি আমি। তার ফলে রাজ্যে ১৯৯৫ সালে মানবাধিকার কমিশন তৈরি হয়েছে।’ অর্থাৎ তিনি যে মানবদরদি তা এভাবেই বুঝিয়ে দিলেন।
কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েও এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অকল্পনীয় সমস্যার সম্মুখীন। কেন্দ্র প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিককে এককালীন ১০ হাজার টাকা সাহায্য করুক। সাহায্য করা হোক অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরও। এক্ষেত্রে পিএম কেয়ার্স ফান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।’ সম্প্রতি মেদিনীপুরের সভা থেকে পিএম কেয়ার্সের তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার সেখান থেকে মানুষের জন্য অর্থ খরচের বার্তা দিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।