তোলাবাজি করতেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ ৫০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় মেরে প্রোমোটারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিধাননগর পৌরনিগমের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এই হামলার ঘটনার পর থেকে ১৪ দিন পার হয়ে গিয়েছে এখনও অধরা বিধাননগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। যা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ কি সত্যিই খুঁজে পাচ্ছে না? নাকি খুঁজছে না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে বিধাননগরের প্রোমোটারকে মারধর করার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুভেন্দু মণ্ডল ওরফে বাবাই নাম ওই ব্যক্তিকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করে বলে খবর। সূত্রের খবর, আর কে কে তার সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে তা তদন্ত করা হচ্ছে। আক্রান্ত প্রোমোটার কিশোর হালদারকে হাসপাতলে ভর্তি হতে হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত প্রোমোটারের মাথায় চারটে সেলাই পড়েছে। গত রবিবার হামলা হয় তাঁর উপর। তারপর উঠে আসে বিধাননগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর নাম। এখন ১৪ দিন পরেও অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। যা নিয়ে জনমানসে প্রভাব পড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছে পুলিশ’, দ্বিতীয় ইমেল পেতেই নয়া অভিযোগ অর্জুনের
এই আক্রান্ত প্রোমোটার কিশোর হালদারের বাড়িতে গত সোমবার রাতে গিয়েছিল পুলিশ। এমনকী অভিযুক্ত কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে এসেছিল পুলিশ। বিধাননগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় তলব করেই নোটিশ দেওয়া হযেছিল। রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেছিলেন কিশোর হালদার ও তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী হালদার। রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল সেদিনের ভিডিয়ো। তারপরও পুলিশ খুঁজে পেল না!
তাই আক্রান্ত প্রোমোটার ও তাঁর পরিবারের সদস্য এখন বলতে শুরু করেছেন আসলে ওই নেতা প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। তাঁর মাথায় বড় হাত আছে বলেই ধরা পড়ছে না। তাই চরম আতঙ্কে ভুগছে গোটা পরিবার। প্রাণহানির আশঙ্কা পর্যন্ত করছেন পরিবারের সদস্যরা। তাই প্রোমোটারের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করা হয়েছে। ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও গ্রেফতার হয়েছে মাত্র দু’জন।