দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নতুন রূপে পুনরায় চালু হচ্ছে ভবানীপুরের তেগ বাহাদুর হাসপাতাল। ভবানীপুরের ডিএল খান রোডের কাছে অবস্থিত গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালটি ১৩ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ মঙ্গলবার থেকে ফের হাসপাতালটি চালু হচ্ছে। আজ থেকে হাসপাতালে মাল্টি স্পেশ্যালিটি বহির্বিভাগ চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা পৌঁছোনোর আগেই মৃত্যু হল বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর
হাসপাতালটি ১৯৭৫ সালে শুরু হয়েছিল। তবে প্রায় চার বা পাঁচ বছর পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯০ সালে এটি পুনরায় চালু করা হয়। ফের ২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতাল। সোনারপুরের ওয়েস্ট বেঙ্গল লিভার ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও এবং হরিশ মুখার্জি রোডের গুরুদোয়ারা সন্ত কুটিয়া যৌথভাবে হাসপাতালটি পরিচালনা করবে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের দোতলা ভবনটির নিচের তলায় তিনটি বহির্বিভাগ কক্ষ রয়েছে। প্রথম তলায় একটি পুরুষ এবং একটি মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়াও, রক্তের নমুনা সুবিধা থাকবে লিভার ফাউন্ডেশনের মূল হাসপাতালে। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি এন্ডোস্কোপি, কোলনোস্কোপি এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফির মতো সুবিধাও পাওয়া যাবে। লিভার ফাউন্ডেশনের সচিব পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায় জানান, এক বছরের মধ্যে ৪০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তিনি জানান, বহির্বিভাগে নেফ্রোলজি, হেপাটোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, গাইনোকোলজি, পালমোনোলজি, নিউরোলজির মতো বিশেষ বিভাগও থাকবে।
সোমবার রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধশরণন্দ এই হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন। আগে শুধুমাত্র গুরুদ্বারা সন্ত কুটিয়া হাসপাতালটি পরিচালনা করত। এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য গুরুদ্বারা সন্ত কুটিয়া ১৯৭০ সালে সম্পত্তিটি কিনেছিল। এই ভবনটি আগে একটি বিদেশি কোম্পানির একটি অতিথিশালা ছিল। সেখান থেকেই সম্পত্তি কেনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গুরুদ্বারা সন্ত কুটিয়ার সাধারণ সম্পাদক অবতার সিং।
তিনি জানান, এই হাসপাতাল পুনরায় চালু করার জন্য লিভার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে সন্ত কুটিয়া। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কার থেকে শুরু করে নতুন সরঞ্জাম কেনার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখানে কম খরচে রোগীরা চিকিৎসা করতে পারবেন।