প্রয়াত সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস কন্যা অজন্তা বিশ্বাস জাগো বাংলায় কলম ধরেছেন। আবার সেই কলম দিয়ে বেরিয়েছে বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান। আর তাতেই রে রে করে উঠেছে মুজফফর আহমেদ ভবনের পক্ককেশধারী কর্তারা। অজন্তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে দলের অন্দরে জোরদার আওয়াজ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন আর এক বাম নেতার মেয়ে। তাঁর নাম বসুন্ধরা গোস্বামী। প্রয়াত আরএসপি’র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা তিনি। আর তাতে আরও শোরগোল বেঁধে গিয়েছে।এই শাস্তির বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সিপিআইএম স্ট্যালিনিস্ট আচরণ করছে। জাগো বাংলায় কলম ধরে এভাবেই সিপিআইএম নেতাদের মুখে ঝামা ঘসে দিলেন ক্ষিতি গোস্বামী কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী। আর তাতে খানিকটা অক্সিজেন পেলেন অনিল কন্যা–অজন্তা। সূত্রের খবর, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্যকে এই নিয়ে নালিশ ঠুকেছেন সিপিআইএমের এক শীর্ষনেতা। তাঁকে বলা হয়েছে বসুন্ধরার কাছে জবাব তলব করতে। তবে পাল্টা ফোন এখনও বসুন্ধরা পাননি।ঠিক কী লিখেছেন ক্ষিতি কন্যা? মঙ্গলবার জাগো বাংলার উত্তর সম্পাদকীয় কলমে মনস্তত্ত্ববিদ বসুন্ধরা গোস্বামী লিখেছেন, ‘এটা বাস্তব যে বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। অজন্তা এটা লিখে কোনও ভুল করেননি। বরং জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় বিভাগও অজন্তার লেখায় বামপন্থীদের অংশ অটুট রেখে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।’ কিন্তু এই কথা মানতে রাজি নন সিপিআইএম নেতারা।তবে ক্ষিতি কন্যা থেমে থাকেননি। বসুন্ধরা আরও লেখেন, ‘এই নিয়ে অজন্তাকে সিপিআইএমের আক্রমণ দেখে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি ওরা স্ট্যালিনিস্ট দল। ব্যক্তি–স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ওরা কন্ঠরোধ করে।…. সিপিআইএমের এইসব আচরণ বহু প্রতিভাকে বামফ্রন্টের স্রোত থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। ওরা সবেতে চক্রান্তের গন্ধ পায়। বদনাম করে। তারপরে শাস্তির পথে যায়। এই খেলা মানুষ ধরে ফেলেছেন। প্রকৃত বাম মনোভাবাপন্ন মানুষ কোনও অবস্থায় এটা মানবেন না। এই করতে করতে বামফ্রন্টকে সব দিক থেকে শূন্যে নামিয়েছে সিপিআইএম। তাতেও শিক্ষা হয়নি। অনুশাসনের নামে কুপমুণ্ডুকের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। চিন্তাভাবনাকে জনমুখী সময়োপযোগী করার কোনও চেষ্টা সিপিএমের নেই….’। এমনকী বাংলায় বামপন্থী শক্তিকে শেষ করছে সিপিআইএম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।