দু’দিনের সফরে এসে বীরভূম থেকে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের ৩৫টি লোকসভা আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন অমিত শাহ। যা শুনে সুকান্ত–শুভেন্দুদের বুক কেঁপে ওঠে। কারণ বাংলা থেকে এতগুলি লোকসভা আসন জেতা শুধু কঠিনই নয় কার্যত অসম্ভব। এই কথা ঠারেঠোরে রাজারহাটে হোটেলের বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গ– বিজেপির নেতারা। তখন একটি ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ ছকে দিয়ে নয়াদিল্লি রওনা হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী এবং অমিতাভ চক্রবর্তী।
ঠিক কী ছক দিলেন শাহ? এই বৈঠকে শুভেন্দুদের শক্তিশালী বুথ স্তরের সংগঠন গড়ে তুলতে বলেছেন শাহ। আর সেটা সম্ভব হলেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দেওয়া সম্ভব হবে। বিরোধী দল হিসাবে নীচুতলার কাজকর্ম এবং কর্মসূচি বাড়াতে নির্দেশ দেন তিনি। কোনও নেতা–কর্মী সংগঠন করতে গিয়ে অত্যাচারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অত্যাচারকে প্রচারে তুলে ধরতে হবে। আরও বেশি করে জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং সরকারের দুর্নীতির কথা প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে বলেছেন অমিত শাহ।
এদিকে এখন দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল বড় মাথাব্যথার কারণ বলে তিনি মনে করেন। সেই রিপোর্ট তাঁর কাছে পৌঁছেছে। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য নেতাদের মধ্যে যেমন সমন্বয় প্রয়োজন তেমনি ঐক্যবদ্ধ মুখ তুলে ধরা দরকার মানুষের কাছে। যদিও এখনও বিজেপির নীচুতলার সংগঠন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলেই সূত্রের খবর। এই কাজ করাটাই এখন বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের কাছে শাহের হোমটাস্ক। আর সেটা দেখতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে আসার কথা অমিত শাহের। তখনই তিনি দেখে নেবেন সংগঠন কতদূর এগোলো।