শহর কলকাতায় বহু জায়গায় ঘর ভাড়া পাওয়া যায়। এনিয়ে বহু বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। বিশেষ করে রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড বা কলেজ, হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় এনিয়ে বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। কোথাও আবার ঘণ্টার ভিত্তিতেও পাওয়া যায় ঘরভাড়া। তবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে একটি বিজ্ঞাপন সকলের নজর কাড়ছে। সেই বিজ্ঞাপনের উপরে গেস্ট হাউস লেখা থাকলে নিচেই লেখা রয়েছে ‘কাপল ফ্রেন্ডলি’। আর সেই সঙ্গে তিন ঘণ্টা বাবদ ভাড়া কত? সেই দর লেখা রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এই বিজ্ঞাপনটি বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কারণ ‘কাপল ফ্রেন্ডলি’ লেখা ঘর ভাড়ার বিজ্ঞাপন খুব একটা চোখে পড়ে না। এমন অবস্থায় গেস্ট হাউসের আড়ালে অনৈতিক কাজকর্ম চালানো হতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: হয়নি ডিভোর্স, নতুন প্রেমে বর! 'এখনও বেরোতেই পারিনি...', তথাগততেই আটকে দেবলীনা
জানা গিয়েছে, একেবারে সাদামাটা পোস্টারে কম্পিউটারে ছাপা বিজ্ঞাপন সেঁটে দেওয়া হয়েছে মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে। তাতে লেখা রয়েছে তিন ঘণ্টা বাবদ ভাড়া মাত্র ৪৯৯ টাকা। নিচে ফোন নম্বরও দেওয়া রয়েছে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে যে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া রয়েছে সেই অতিথিশালাটি অবস্থিত ইএম বাইপাস এলাকায়। অতিথিশালার তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্করা পরিচয় পত্র দেখিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন সেখানে। যদিও এক্ষেত্রে বেআইনি কার্যকলাপের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে অতিথিশালা কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা বেআইনি নয়। জানা যাচ্ছে, সেখানে দুঘণ্টা আগে ফোন করলেই ঘরের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সল্টলেক এলাকাতেও এমন ঘণ্টা পিছু আস্তানা রয়েছে, যা যুগলদের মধ্যে জনপ্রিয়। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। ফলে এমন বিজ্ঞাপন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এবিষয়ে একটি পর্যটন সংগঠনের বক্তব্য, এটা মোটেও নৈতিক নয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়মের অপব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে গেস্ট হাউস চালানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে বৈধ লাইসেন্সও থাকে না। তাই পুলিশের উচিত এগুলি খতিয়ে দেখা। যদিও শহরে অন্য ব্যবসার আড়ালে যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এবিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কোনও গেস্ট হাউসের আড়ালে অনৈতিক কাজ হলে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, হোটেলের ব্যবসার আড়ালে বেআইনি কিছু যাতে না হয় তারজন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। সেরকম কিছু পাওয়া গেলেই হোটেল বা গেস্ট হাউসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।