
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বেলপাহাড়ির মনিয়ারডি গ্ৰাম। সেখানে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়ল হরিণ। যা দেখে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে চিৎকার জুড়ে দেন বাড়ির সদস্যরা। খবর পৌঁছে যায় বাঁশপাহাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাঁশপাহাড়ি বিট হাউসে। তখন বন দফতরের কর্মীরা গ্ৰামে এসে হরিণকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই আবহে চিকিৎসার জন্য ওই হরিণকে ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে পাঠানো হয়। আর বন দফতর সূত্রে খবর, কুকুরের তাড়া খেয়ে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে এই চিতল হরিণ। আর গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। শনিবার বিকেলে হরিণকে নিয়ে আতঙ্কে পড়ে যায় বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত মনিয়ারডি গ্রাম।
বাঘের আতঙ্ক এখানকার গ্রামবাসীরা দেখেছেন। বাঘ মানুষের উপর আক্রমণ করেছে সেটা এখানকার বহু মানুষ দেখেছেন। কিন্তু গৃহস্থের বাড়িতে হরিণ ঢুকে পড়ার ঘটনা বোধহয় প্রথম। তবে নিরীহ এই প্রাণীটি কারও ক্ষতি করেনি। বরং গ্রামবাসীরা বলছেন, এই হরিণের চোখ দেখে মনে হচ্ছিল, বিপদে পড়ে সাহায্য চাইছে। মনিয়ারডি গ্রামের বাসিন্দা প্রেমানন্দ মুর্মুর বাড়িতেই এই চিতল হরিণ ঢুকে পড়েছিল। পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা দেখতে পান হরিণের ডান পায়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাই সেই হরিণকে সেখানে রেখেই বাঁশপাহাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এবং বাঁশপাহাড়ি বিট হাউসে খবর দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: আজকের ব্রিগেড সমাবেশে কড়া নজর রাখল লালবাজার, সতর্কতার নির্দেশ জারি পুলিশের
বন দফতরের কর্মীরা এবং পুলিশ এসে হরিণকে উদ্ধার করে। তাঁরাও হরিণের পায়ের ক্ষত তলিয়ে দেখেন। আর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হলেও প্রেমানন্দ মুর্মু বলেন, ‘গতকাল বিকেলে স্ত্রীর চিৎকার শুনে ছুটে আসি। আর এসে দেখি ঘরের মধ্যে একটি চিতল হরিণ ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে। প্রথমে ভয় লাগলেও হরিণের ডান পায়ে গভীর ক্ষত দেখে বুঝতে পারি সে সাহায্য চাইছে। তখনই পুলিশ এবং বন দফতরকে খবর দিলে তারা হরিণকে নিয়ে যায়।’ উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বাঘিনী জিনাত ঢুকে পড়েছিল বেলপাহাড়ির জঙ্গলে। আবার ঝাড়খণ্ড থেকেও একটি বাঘ ঢুকে পড়েছিল বেলপাহাড়িতে। এবার হরিণ ঢুকে পড়ল গৃহস্থের বাড়িতে।
এই ঘটনার পর অনেকেই এখন বেশ সতর্ক রয়েছেন। আজ, রবিবার ছুটির দিনে ওই এলাকায় হরিণের বিষয়টি চর্চিত হচ্ছে। তবে বাঁশপাহাড়ির রেঞ্জ অফিসার মিহির প্রামাণিকের বক্তব্য, ‘উদ্ধার হওয়া চিতল হরিণকে এখন চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখন চিকিৎসা চলছে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলে আবার জঙ্গলে ছেড়ে আসা হবে।’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কদিন আগে জঙ্গলে কেন্দু ফল এবং পাতা তুলতে গিয়ে তিন–চারটি চিতল হরিণ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। নিরীহ ওই হরিণ কাউকে কিছু করেনি। প্রেমানন্দ মুর্মুর কথায়, ‘হরিণ তো ছিলই। কদিন আগে ভালুকও দেখেছিলেন গ্রামের মহিলারা।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports