মাধ্যমিকে প্রথম। জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বাংলার মধ্যে প্রথম। এবার উচ্চমাধ্যমিকেও মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করে নিল দেবদত্তা মাঝি। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট। সেখানে সারা দেশ জুড়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিলেন মোট ২৪ জন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছিলেন মোট ২ জন। তাদেরই একজন ছিলেন কাটোয়ার দেবদত্তা। মাধ্যমিক, জয়েন্টের পর এবার উচ্চমাধ্যমিকেও নজির গড়লেন এই মেধাবা ছাত্রী।জয়েন্টে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১০০ পার্সেন্টাইল২০২৫ সালের দুই ভাগে সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা আয়োজিত হলেও দ্বিতীয় পরীক্ষায় বেশি মার্কস পেয়েছেন দেবদত্তা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১০০ পার্সেন্টাইল। তবে এখনই তাঁর সাফল্য নিয়ে ততটা উৎসাহিত নন কাটোয়ার এই কৃতী ছাত্রী। তাঁর কথায়, এখনও পরবর্তী লক্ষ্য পূরণ বাকি রয়েছে। আপাতত সেই দিকেই ফোকাসড দেবদত্তা।মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার মেয়েকাটোয়ার ডিডিসি গার্লস স্কুলের পড়ুয়া দেবদত্তা। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই তিনি ওই স্কুলের ছাত্রী। সর্বভারতীয় জয়েন্টের দুটি সেশনের পরীক্ষাই তিনি দিয়েছেন। কিন্তু বেশি ভালো ফল হয় দ্বিতীয় সেশনে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবশ্য দুজন টপার হয়েছে এই বছর। একজন কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি ও অন্যজন খড়গপুরের অর্চিষ্মান নন্দী। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও মেধাতালিকায় নাম ছিল দেবদত্তার। হয়েছিলেন প্রথম।কোন মন্ত্রে পরপর সাফল্য?কন্যার সাফল্যে স্বভাবতই খুশি দেবদত্তার মা-বাবা। তবে এই নিয়ে এখনই উচ্ছ্বসিত হতে নারাজ তাঁরা। সংবাদমাধ্যমকে জানানো কথা অনুযায়ী, মেয়ে দেবদত্তা মাধ্যমিকের পর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। প্রস্তুতির জন্য বেসরকারি কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তাঁদের মেয়ে। এছাড়া রোজ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা তো আছেই। জয়েন্টের ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর তারই ফসল। তবে এখনই এই নিয়ে তাঁর পরিবার উচ্ছাস প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন। দেবদত্তার মা এই সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি থেকে পড়াশোনা করার ইচ্ছে তাঁর। আপাতত সেই লক্ষ্য পূরণেই ব্যস্ত কন্যা।বিস্তারিত আসছে…