দলের নির্দেশের যদি পদ চলে যায় তবে কোন ওজর-আপত্তি চলবে না। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর পদ পাওয়া জেতা প্রার্থীদের অঙ্গীকার করিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল। পদ চলে যাওয়ার পর প্রার্থীর যাতে আইন-আদালত করতে না তার জন্যই এই উদ্যোগ বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ জন্য একটি অঙ্গীকারপত্র তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের গিয়ে সেই অঙ্গীকার পত্রে সই করানোর কাজ চলছে। কী লেখা রয়েছে তাতে? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গীকারপত্রে লেখা রয়েছে, 'জেলা পরিষদ/পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য-সদস্যা হিসেবে আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এই অঙ্গীকার করছি যে, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণে তৃণমূলের দলনেতার নির্দেশ মতো সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করব। আমাকে অযোগ্য বিবেচনার জন্য এবং সদস্যপদ বিলোপের জন্য দলনেতা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমার কোনও আপত্তি থাকবে না বা আমার কোনও অভিযোগ আইন-আদালতে গ্রাহ্য হবে না।'
(পড়তে পারেন। ইয়াসির দল বদল নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ, জামাইকে 'পরজীবী' কটাক্ষ শ্বশুরের)
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় ঘোষণা করেন, পঞ্চায়েতে কেউ যদি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন তবে তিন মাসের মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর এই বার্তার প্রেক্ষিতে অঙ্গীকারপত্রের উদ্য়োগ।
(পড়তে পারেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক জামিন, শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন নীলাদ্রি দাস)
একে একধরনের রাজনৈতিক মুচলেখা বলছেন বিরোধীরা। জয়ী প্রার্থীদের সেই মুচলেখা দিয়ে পঞ্চায়েতের পদ নিতে হচ্ছে। এক বিজেপি নেতার মতে,তৃণমূলের মধ্যে কাজ না করা নেতার সংখ্যা বড়েছে তাই মুচলেখা দিয়ে তাঁদের পদ দিতে হচ্ছে। রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েতে এই ধরনের উদ্যোগ নিল মনে করেছেন অনেকে।