অনেক বিরল প্রজাতির এবং বহু প্রাচীন গাছ রয়েছে শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনে। অথচ সেই বটানিক্যাল গার্ডেনের সবুজ নষ্ট করে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক পার্ক। যার ফলে বেশ কয়েকটি গাছের অস্তিত্ব বিপন্ন। এর সমাধান চেয়ে জাতীয় পরিবেশ আন্দোলনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশকর্মীরা। সেই সংক্রান্ত মামলায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। অভিযোগ যাচাই করে কমিটিকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
আরও পড়ুনঃ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন, কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে?
জানা গিয়েছে, এই কমিটিতে রাখা হয়েছে ৩ জনকে। এরা হলেন রাজ্য পরিবেশ দফতর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ৩ সিনিয়র বিজ্ঞানী। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার ভিত্তিতে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তিন সদসের এই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে পরিবেশ আদালত। বটানিক্যাল গার্ডেনে সবুজ নষ্ট করে আধুনিক পার্ক গড়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
এ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ আদালতে মামলাও করেছিলেন সুভাষ দত্ত। তাঁর বক্তব্য, অনেক বিরল প্রজাতির গাছ রয়েছে এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে। মূলত সেগুলির সংরক্ষণ এবং গবেষণার জন্যই বটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করা হয়েছিল, অথচ সেখানেই উদ্যান কর্তৃপক্ষ সবুজ নষ্ট করে আধুনিক পার্ক গড়ছে। যার উদ্দেশ্য হল পর্যটকদের কাছে এই গার্ডেনকে আকর্ষণীয় করে তোলা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মূল্যবান গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। যার মধ্যে রয়েছে মূল্যবান চন্দন, মেহগনি গাছ।