চারদিনের সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন। ফেরার আগে দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে জনসংযোগ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে ইস্যু করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে কলকাতায় ফেরার সময় সৌমেন মহাপাত্র এবং তরুণকুমার মাইতি –সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ANI Photo)
এখন রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনও দুয়ারে। যদিও নির্ঘন্ট প্রকাশ হয়নি। তবে সূত্রের খবর, মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই বিজেপি চাপে পড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই চারদিনের সফর শেষে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন। ফেরার আগে দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে জনসংযোগ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে ইস্যু করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে কলকাতায় ফেরার সময় তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং তরুণকুমার মাইতি –সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তিনি তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন,কেন্দ্রের বঞ্চনা মানুষের দুয়ারে নিয়ে যান। ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলেই গ্রামীণ মানুষ কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না। আর সেখানে রাজ্য সরকার বিকল্প কাজ দিয়ে মানুষের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন।
এদিকে তিনি আগামী সপ্তাহে বীরভূম যাবেন বলে সূত্রের খবর। এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তবে সেখানের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। হুগলির নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে হবে পরিসংখ্যান দিয়ে। ২০২২–২৩ আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭৬ হাজার ৫৪৬টি পরিবারের ২১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৯৩ জন ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করেছেন। তাঁদের মজুরি বাবদ ৬১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বকেয়া আছে। গোটা আর্থিক বছরে কোনও টাকা পাননি জবকার্ডধারীরা। গ্রামীণ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষজনের ক্ষোভ বাড়ছে। এই ক্ষোভকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিশানা করতে হবে বলে নেত্রীর নির্দেশ।