বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক অফিসে ডিএ না পাওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলন করছিলেন কর্মীরা। তখন ইলামবাজারের জয়েন্ট বিডিও দেবাশিস কুমার বর্মণ সেখানে হাজির হন। বুধবার বিডিও অফিসে এসে পৌঁছন। তখনই তাঁকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনি চমকে যান। তৃণমূল নেতার এমন আচরণ দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন।
ডিএ নিয়ে আন্দোলন।
সদ্য বিধানসভায় ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। তার ২৪ ঘন্টা কাটেনি বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এমনকী অনশন করছেন তাঁরা। এই আন্দোলন আরও বড় আকার নেবে বলেও তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গত সোমবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতিও পালন করেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা। এই পরিস্থিতিতে কেষ্টর জেলা বীরভূমে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা ঘটল। ডিএ নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে জয়েন্ট বিডিও–কে অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক অফিসে ডিএ না পাওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলন করছিলেন কর্মীরা। তখন ইলামবাজারের জয়েন্ট বিডিও দেবাশিস কুমার বর্মণ সেখানে হাজির হন। বুধবার বিডিও অফিসে এসে পৌঁছন। তখনই তাঁকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনি চমকে যান। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এমন আচরণ দেখে তিনি রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। তারপরই দুপুরে বিধানসভায় ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়।
ঠিক কী অভিযোগ বিডিও’র? এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর বিডিও দেবাশিস কুমার বর্মণের অভিযোগ, ডিএ নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। তিনিও কর্মী সংগঠনদের নিয়ে একটি আলোচনায় বসে ছিলেন। তাই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অনেকের মনে করেন, তিনি ডিএ নিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং ইলামবাজারের স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁকে প্রবেশ করতে দেয়নি।