বর্ধমানে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে রাজ্য সরকার। গত বছর সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬ হাজার টন। তবে চলতি অর্ধবর্ষে ৬৯ হাজার টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এক্ষেত্রে প্রতি কুইন্টালে ২৮১৮ টাকা করে দিচ্ছে সরকার।
ধান বিক্রিতে সমস্যা। প্রতীকী ছবি
চাষিরা যাতে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে তার জন্য সহায়ক মূল্যে ধান কিনে থাকে রাজ্য সরকার। ধান ক্রয় কেন্দ্রে সহায়ক মূল্য ধান বিক্রি করতে গেলে এর জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করতে হয়। সেই তারিখ পাওয়ার পর তবে ধান বিক্রি করা যায়। কিন্তু, অভিযোগ বর্ধমানে রেজিস্ট্রেশনের পরেও ধান বিক্রির জন্য তারিখ পাচ্ছেন না ভাগচাষিরা। এরফলে তারা সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।
প্রসঙ্গত, বর্ধমানে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে রাজ্য সরকার। গত বছর সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬ হাজার টন। তবে চলতি অর্ধবর্ষে ৬৯ হাজার টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এক্ষেত্রে প্রতি কুইন্টালে ২৮১৮ টাকা করে দিচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে কোনও কৃষক ধান বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে প্রতি কুইণ্ঠালে ২০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে । এখনও পর্যন্ত ৬,৮৭০ টন ধান কেনা হয়েছে এখানে।
সাধারণত যে কেউ ধান ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারেন না। এর জন্য আগে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ পেতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রথমে অনলাইনে একটি আবেদন জমা দিতে হয়। এরপর চাষিরা ধান বিক্রয়ের সুযোগ পান। ভাগচাষিদের ক্ষেত্রে তারা কোন জমিতে চাষ করছেন? কার জমিতে চাষ করছেন? কতটা জমিতে চাষ করছেন? এই সমস্ত তথ্য জানাতে হয়। সেই তথ্য যাচাই করার পরে ভাগচাষিদের ধান বিক্রি করার সুযোগ দেওয়া হয়।