ফের রাজ্যে এক নাবালক আত্মহত্যায় কেন্দ্রে সেই মোবাইল ফোন। মায়ের বকুনিতে আত্মঘাতী ১৫ বছরের কিশোরী। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের। নিহত কিশোরীর নাম তনুশ্রী খালুয়া। বুধবার দুপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী তনুশ্রী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পড়াশুনোয় মন ছিল না একেবারে। সারা দিন মোবাইল ফোনে মেতে থাকত সে। এই নিয়ে বুধবার দুপুরে তাকে বকাবকি করেন তার মা। এর পর ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অনেকক্ষণ মেয়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন। সিলিং ফ্যান থেকে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তনুশ্রী।মায়ের আর্তনাদে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর যায় সবং থানায়। পুলিশ আধিকারিকরা এসে দেহ উদ্ধার করেন।মনোবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। তার ওপরে লকডাউনে গৃহবন্দী জীবন। তাতেই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে বহু কিশোর কিশোরী। বাহ্যিক জগতের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ প্রায় শূন্য। এমনকী অনেকে দৃশ্যকল্প জগৎটিকেই বাস্তব বলে ভাবতে শুরু করেছেন। তার ওপরে রয়েছে বয়ঃসন্ধির জেদ। সব মিলিয়ে রোজই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে এরকম মৃত্যুর খবর। মনোবিদদের পরামর্শ, বয়ঃসন্ধিকালে সন্তান কথা না শুনলে বারবার বুঝিয়ে বলুন। তাতে কাজ না হলে সন্তানের আস্থাভাজন এমন কাউকে দিয়ে বোঝান। কাজ না হলে মনোবিদের কাছে যান। কিন্তু বকাবকি একদম নয়।