পেটের দায়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাংলার বাইরে দক্ষিণের রাজ্যে পাড়ি দিয়ে ছিলেন। কাজ করে সেই অর্থে পরিবারকে ভাল রাখার স্বপ্ন নিয়ে তামিলনাড়ুতে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গের একাধিক পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এবার তাঁদেরকে অপহরণ করার অভিযোগ সামনে এল। এই খবর মেলার পরই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারে। কারণ এই খবর পেয়েছিল বাংলা থেকে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। শ্রমিকদের পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হতেই নড়ে যায় প্রশাসন। তবে সকলকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে অপহরণই করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বাংলার জেলা পুলিশ যোগাযোগ করে তামিলনাড়ুর পুলিশের সঙ্গে। তখন নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাংলার ১৬ জন শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই ১৬ জন শ্রমিকদের মধ্যে ৬ জন নবগ্রাম, ২ জন বহরমপুর এবং বাকি ৮ জন বীরভূমের রামপুরহাট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। বীরভূম অনুব্রত মণ্ডলের জেলা। আর এখন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজ করেন কাজল শেখ। এখানেরই বহু শ্রমিক তামিলনাডুর সালেম শহর থেকে অপহরণ হয়ে যান। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস অপারেশন চালিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই অপহরণের ঘটনায় কত জন যুক্ত ছিল এবং কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই ব্যাপারে এখনও কিছু বলেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধাপার উপর চাপ বাড়ছে, যে কোনও সময় ধস নামতে পারে, নবান্নে চিঠি কলকাতা পুরসভার
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ১৬ জন শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে এই ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক একই কাজে তামিলনাড়ু যাননি। এই অপহৃত হওয়া পরিয়ায়ী শ্রমিকদের মধ্যে কেউ তামিলনাড়ুতে বিস্কুট কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন, কেউ গিয়েছিলেন রাজমিস্ত্রির কাজ করতে। কিন্তু শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সংস্থার পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে ভেবে তাঁরা একটি গাড়িতে উঠেছিলেন। সেই গাড়িটিই অপহরণকারীদের ছিল। ওই গাড়িতে ওঠার কিছুক্ষণ পরই পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। কয়েকজন জানান, শ্রমিকদের মারধরও করা হয়েছে সেখানে।