এপার বাংলা থেকে অবৈধ পথে এপার বাংলায় এসেছিল তিনজন নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে ভারতের অন্তর্গত রাজ্য বাংলায় অবৈধ পথে ঢুকে পড়ে তারা। আর এখানে এসে দিব্যি বসবাস করছিল ওই তিনজন বাংলাদেশের নাগরিক। সীমান্ত পেরিয়ে ওই তিন বাংলাদেশি দিব্যি নির্মাণ সংস্থার কর্মী হিসেবে বাংলার নানা জায়গায় কাজও করে যাচ্ছিল তারা। আজ, শুক্রবার ওই অবৈধ পথেই সীমান্ত পেরনোর সময় ধরা পরে গেল তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিন বছর বাংলায় থেকে কাজ করে গেল তিনজন বাংলাদেশি। আর কেউ টেরও পেল না! পুলিশ সূত্রে খবর, আজ ভোরের আলো ফোটার আগে অবৈধ পথে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে ওই তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। আর তখনই টহলদারি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে, ওই তিনজন আসলে বাংলাদেশি নাগরিক। ধৃতদের নাম কামরুল ইসলাম, ছকিনুর বেগম এবং নিলুফা খাতুন। তারা বাংলাদেশের নানা জায়গায় থাকে।
আরও পড়ুন: খাটাল নিয়ে টক টু মেয়রে হুমকির নালিশ ব্যক্তির, কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
এখন বাংলাদেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। সেখানে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। আগে যে অশান্তি চলছিল তা থামেনি। মন্দির–গির্জার উপর আক্রমণ লেগেই রয়েছে। ইসকন মন্দিরের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। হিন্দু নাগরিকদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তার মধ্যেই বাংলাদেশের এই তিন নাগরিক এপার বাংলায় আসে চোরাপথেই। আর থেকেও যায় তিন বছর ধরে। নির্মাণকর্মী হিসেবে একাধিক জায়গায় তারা কাজ করেছে বলে অভিযোগ। আবার ছুটিতে লুকিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশের বাড়িতে যাতায়াত করত তারা বলেও অভিযোগ। এবারও সেই অবৈধ পথেই সীমান্ত পেরিয়ে যেতে গিয়ে পুলিশের হাতে তারা ধরা পড়ে গিয়েছে।
একেবারে ভোর হওয়ার কিছু আগে অন্ধকার থাকাকালীনই বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বরূপদহ এলাকা দিয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করা ওই তিনজন বাংলাদেশের নাগরিক। এমন একটা সময়ে তাদের তিনজনকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তখন পথ আটকায় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাদের কথায় বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাদের কাছে এদেশের কোনও পরিচয়পত্রও মেলেনি। অবশেষে পুলিশের লাগাতার প্রশ্নে জেরবার হয়ে সত্যি কথা বলে ফেলে তারা। যা শুনে পুলিশের চোখ কপালে উঠে যায়। তাই তাদের গ্রেফতার করে আজ, শুক্রবার বসিরহাট আদালতে ধৃতদের তোলা হয়। কামরুল ইসলাম এবং নিলুফা খাতুনের বাড়ি যশোরে। ছকিনুর বেগমের বাড়ি সাতক্ষীরায়।