আমি খেলোয়াড়, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়— রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথাই জানলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বিজেপি–তে যোগ দিচ্ছেন? ২০২১–এর নির্বাচনে দাঁড়াবেন?— এমন একাধিক প্রশ্নের ‘বল’ এদিন সফল ক্রিকেটারের মতোই ‘ট্যাকেল’ করেন মধ্য হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক লক্ষ্মী।এদিন ডুমুরজলায় এলআরএস বাংলা স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রথমে লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘২০১৬ সালের পর থেকে যাঁদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আপাতত রাজনীতি থেকে আমি সরে গেলাম।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘এখনও বিধায়ক পদ ছাড়িনি, রাস্তায় বেরবো, মানুষের জন্য কাজ করব।’ তিনি বিজেপি–তে যোগ দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘যখন রাজনীতিই ছেড়ে দিচ্ছি তখন কোথাও যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’রাজনীতি থেকে সরে এলেও তা একেবারে ছাড়ছেন না লক্ষ্মী— এ কথা আগেও জানিয়েছেন। কিন্তু এই ‘আপাতত’ ঠিক কতদিনের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলতে চাই যে আপাতত আমি খেলাধুলোতেই বেশি মনোযোগ দেব। এতদিন তাই করছিলাম। আরও ভাল ভাবে রাজ্যের ক্রীড়া জগতে কীভাবে কাজ করতে পারি সেই চেষ্টাই করব।’হাওড়া শহর তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মী। কিন্তু এই পদ ছাড়ার কারণ কী? উত্তরে বাংলার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘কিছু জিনিস আছে যা সংবাদমাধ্যম বা প্রকাশ্যে না বলাই ভাল।’ কিন্তু তিনি কি তৃণমূল ছাড়ছেন? উত্তরে লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘আমি এখনও বিধায়ক রয়েছি। বিধায়কের টার্ম যতদিন আছে তা পূরণ করব। আমার কোনও ক্ষোভ নেই। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তা বজায় থাকবে।’রাজনীতিতে না থেকেও মানুষের সেবা করা যায় বলে এদিন জানিয়েছেন লক্ষ্মী। আর তার পরই কটাক্ষের সুরেই বলেন, ‘গত সাড়ে ৪ বছরে আমি একটাই কাজ করিনি, তা হল রাজনীতি। যতদিন প্রাণ থাকবে ততদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’ যে সততার সঙ্গে খেলাধুলো করেছি, সেই একই সততা রাজনীতির প্রতিও ছিল বলে এদিন জানিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্সা। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে আলাদা কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। আমি সোজাসাপ্টা মানুষ।’