বিভূতিভূষণের স্কুলে পড়তেন সন্দীপ, কৃতীতালিকা থেকে নাম সরানোর দাবি প্রাক্তনীদের

আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। এমনকী মৃতদেহ পাচারের মতো নিকৃষ্ট অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের কৃতিদের তালিকা থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে ফেলার দাবি তুললেন তাঁর স্কুলের প্রাক্তনীরা। বুধবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়ে স্মাপকলিপি দেন বনগাঁ হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের কয়েকজন সদস্য। ওই স্কুল থেকেই ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুন - 'আরজি করের ইন্টার্নদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের কাছে'পড়তে থাকুন - ‘উনি যত তাড়াতাড়ি পারেন গদি ছাড়ুন, বাংলার মানুষকে রেহাই দিন’ উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুলে দ্বিতীয় হয়েছিলেন সন্দীপবাবু। স্কুলে কৃতীদের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। সন্দীপবাবুর এক সহপাঠী জানিয়েছেন, ‘আমাদের সঙ্গে পড়ত সন্দীপ। মাঝে কয়েক বছরের জন্য রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছিল। আবার বনগাঁ হাই স্কুলে ফেরত আসে। ওর বাড়ি বনগাঁ শহরের পশ্চিমপাড়ায়। আমাদের সঙ্গে ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ও। আমাদের ব্যাচে ৬ জন মেডিক্যালে চান্স পেয়েছিল। তাদের মধ্যে ও একজন।’সন্দীপবাবুর নাম স্কুলের কৃতীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি নিয়ে বুধবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তনীরা। প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।এক প্রাক্তনী বলেন, ‘এটা বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল। সন্দীপ ঘোষের নামে স্কুলকে মানুষ চিনুক এটা আমরা চাই না। তাই ওর নাম কৃতীদের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে বলেছি।’আরও পড়ুন - ঘরে - বাইরে চাপের মুখে পড়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষের নিয়োগ বাতিল করল রাজ্য সরকারপ্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’