উত্তরবঙ্গে ফের বাড়ল চোরাশিকারি ও পাচারকারীদের দাপট। শুক্রবার অসম থেকে সিকিমে পাচার করার পথে ধরা পড়ল তিন চোরাশিকারি। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকা দামের গণ্ডারের খড়্গ এবং হাতির দাঁতের অংশ।অসম থেকে সিকিমে পাচার করার কথা ছিল চোরাশিকারিদের লুঠ করা বন্যপ্রাণীর দেহাংশ। কিন্তু যাওয়ার পথে বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল দুষ্কৃতীরা। ধৃতরা আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ, সিকিম ও ভূটানের বাসিন্দা।উত্তরবঙ্গ বন দফতরের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পাই যে, বহুমূল্য বন্য প্রাণীদের দেহাংশ বিক্রি করতে অসম থেকে সিকিমের পথে যাচ্ছে চোরাশিকারিদের দল। জলপাইগুড়ির মালবাজারে আমাদের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে তিনটি গাড়ি, যার মধ্যে একটি শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যায়। ওই গাড়ির নম্বরপ্লেট ভূটানের। ধৃতদের থেকে আমরা একটি গণ্ডারের খড়্গ এবং হাতির দাঁতের অংশ উদ্ধার করেছি। ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’বন দফতর জানিয়েছে, অসমের জঙ্গল থেকেই জোগাড় করা হয়েছিল পাচারের জন্য খড়্গ ও হাতির দাঁত। দু’টি স্কুলব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে বন্যপ্রাণের দেহাবশেষ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের প্রথম তফসিলের প্রথম বিভাগে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভারতীয় হাতি ও গণ্ডার চূড়ান্ত নিরাপত্তা পেয়ে থাকে।বন দফতরের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, গণ্ডার ও হাতির দাঁত বিক্রির অভিযোগে ন্যূনতম ৩ এবং সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। উদ্ধার করা গণ্ডারের খড়্গ ও হাতির দাঁতের অংশের বাজারমূল্য কোটি টাকার বেশি।ে।