একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু হল ট্রেন দুর্ঘটনায়। হাওড়া–হাটিয়া যাত্রীবাহী ট্রেনের জোর ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে পূর্ণবয়স্ক হাতিটির। আসলে রাতের অন্ধকারে ট্রেন লাইন পার হচ্ছিল গজরাজ। আর তীব্র গতিতে আসা এক্সপ্রেস ট্রেন সামনে হাতি দেখে থামাতে পারেনি ট্রেনকে। কারণ তখন যদি ব্রেক কষা হতো তাহলে বিপুল পরিমাণ মানুষ ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যেত। আজ, শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ডিভিশনের লেটেমদা ও তিরুলডি স্টেশনের মাঝে বাঁকরাকুড়ি গ্রাম সংলগ্ন লাইনে। হাতি মেরে ফেলে এখন রেল এবং ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ এক অপরের দিকে দোষারোপ করছে। হাতির মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে ঝাড়খণ্ডের প্রধান মুখ্যবনপাল তথা চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সশিকর সামন্ত। যা নিয়ে চর্চা এখন তুঙ্গে।
বনদফতর সূত্রে খবর, চান্ডিল–মুরি শাখায় রেল লাইন পার হচ্ছিল একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি। তখন হাওড়া থেকে আসছিল হাটিয়াগামী যাত্রীবাহী ট্রেন। আর ওই মুহূর্তে হাতিকে সজোরে ধাক্কা মারে এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ট্রেনটি এত দ্রুত বেগে চলছিল যে তা থামানো সম্ভব হয়নি। তার জেরেই ট্রেনের ধাক্কায় হাতি ধাক্কা মেরে ছিটকে ফেলা হয়। তখন হাতির দেহ রেলের একটি খুঁটিতে গিয়ে লাগে। এত জোরে গিয়ে হাতির দেহ ধাক্কা মারে লোহার খুঁটিতে যে সেটা বেঁকে যায়। ছিঁড়ে যায় তার। এই খবর চাউর হতেই সরাইকেলা–খরসোওয়া জেলার গ্রামের মানুষজন ঘটনাস্থলে ভিড় জমান।
আরও পড়ুন: পানীয় জলের ভয়াবহ সংকটের মুখে শিলিগুড়ি পুরসভা, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ
এদিকে মৃত হাতিকে দেখতে ভিড় হয়ে যায় পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি এলাকার মানুষজন। বন দফতর দোষ দিচ্ছে রেলকে। ট্রেনের গতিবেগ যদি আসতে করত চালক তাহলে হাতিটি বেঁচে যেত। আর রেল বন দফতরকে দোষ দিয়ে বলছে, হাতিকে যদি আটকে রাখতে পারত তাহলে সে ট্রেনের লাইনে আসত না। আর অকালে প্রাণ যেত না গজরাজের। এই পরিস্থিতিতে বন দফতরের চান্ডিল রেঞ্জের অফিসাররা এবং রেলের অফিসাররা অকুস্থল পরিদর্শন করেন। এমন ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়। ফলে আজ দেরিতে গন্তব্যে যায় হাওড়া থেকে আসা দুরন্ত এক্সপ্রেস, বড়বিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেস, কাঁটাবাজি ইস্পাত এক্সপ্রেস এবং জামশেদপুর থেকে ছাড়া স্টিল এক্সপ্রেস, গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস, হাওড়া এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।