‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের’ প্রচার করতে গিয়ে সিট বেল্ট ব্যবহার করতে দেখা গেল না খোদ রায়গঞ্জের পুলিশ সুপারকে। নিরাপদে গাড়ি চালানোর প্রচারে শীর্ষ পুলিশ কর্তার এহেন অসেচতনতা নিয়েই এবার উঠেছে প্রশ্ন। সাধারণ মানুষকে যেখানে হেলমেট না পরলে বা সিট বেল্ট ব্যবহার বা করলে মোটা টাকার ফাইন দিতে হয়। সেখানে শীর্ষ কর্তারা আইন লঙ্ঘন করলে সেদিকে আঙুল উঠবেই। এদিকে সচেতনতা বাড়াতে জরিমানার বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই অবশ্য কার্যকরী হয় না। এই আবহে বিশিষঅট ব্যক্তিরা মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে প্রচার করেন। তবে কোনও প্রশাসনিক কর্তাই সেই নিয়ম না মেনে চললে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।বুধবার রায়গঞ্জে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের সচেতনতা প্রচারে অংশ নেন পুলিশ সুপার, জেলাশাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রশাসনিক কর্তাদের প্রত্যেকের গাড়ির চালক, সামনের সিটে বসে থাকা আরোহীদের কাউকেই সিট বেল্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের মধ্যে পুলিশ সুপারও ছিলেন।মঞ্চে উঠে অবশ্য সচেতন হতে বার্তা দেন পুলিশ সুপার। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বাইক আরোহীকে নিজে হেলমেট পরিয়ে দেন জেলার শীর্ষ কর্তারা। তবে অনুষ্ঠানের শুরুতেই অচেতন কর্তাদের তাঁদের আইন লঙ্ঘন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তার সরাসরি জবাব মেলেনি। তবে অনুষ্ঠান শেষে জেলা শাসক-পুলিশ সুপারকে সিট বেল্ট লাগিয়ে অনুষ্ঠান স্থল ছাড়তে দেখা গেল।