মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরেই ভিন রাজ্যে আলু রফতানি আটকাতে তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ট্রাকে ভিন রাজ্যে রফতানি করা হয়ে থাকে আলু। এই অবস্থায় সীমান্তে ট্রাক পরীক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। তারপরেই ভিন রাজ্যে যাওয়া আলু আটকাতে শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের সঞ্চার তৈরি হচ্ছে আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, কোনও সরকারি নির্দেশ ছাড়াই পুলিশ আলুর ট্রাক আটকাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধের নির্দেশ দিল নবান্ন, সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠক
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে সীমান্তে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে ওড়িশাগামী আলু বোঝাই ট্রাক আটকাতে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে দাঁতনের সোনাকোনিয়া এবং বামন পুকুর এলাকায়। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে আলু বোঝাই ট্রাক আটকাতে ঝাড়গ্রামের জামবনিতে মুম্বই কলকাতা জাতীয় সড়কে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া, পশ্চিম বর্ধমানের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ডুবুরডিহি চেকপোস্টে তল্লাশি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে। জানা গিয়েছে, সীমান্তে চেকিংয়ের সময় আলু বোঝাই ট্রাক দেখলেই সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অথবা দীর্ঘসময় ধরে ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে। আলু ব্যাবসায়ীদের বক্তব্য, দীর্ঘসময় ট্রাকে আলু থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ট্রাক চালক এবং মালিকদের ফলে হয়রানি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, পুলিশ আলুর ট্রাক আটকানো শুরু করতেই ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, সরকার ভাবছে যে নতুন আলু উঠতে দেরি আছে। বাইরে রাজ্যে পাঠানোর জন্য দাম বাড়ছে। এটা ভুল ধারণা। ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরগুলিতে ১২ শতাংশ আলু হিমঘরে মজুত থাকবে। সরকারকে এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
যদিও আলু ব্যবসায়ীদের অনেকের অভিযোগ, কোনওরকম সহকারি নির্দেশিকা ছাড়াই এরকমভাবে আলু বোঝাই ট্রাক আটকানো হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, হয় সরকার আলু কিনে নিল নাহলে ভিন রাজ্যে পাঠাতে দিক। তবে পুলিশের বক্তব্য, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিকে, ট্রাক অপারেটরা আলুর লরি আটকানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন । তাদের বক্তব্য, তারা আগে জানলে আলু তুলতেন না। এর ফলে তাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রাক আটকে থাকছে। যদিও এ বিষয়ে কৃষি বিপণন দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।