বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের জেরে পাহাড়ে দুর্যোগের আশঙ্কা। আগামী সপ্তাহের শেষে দার্জিলিং, সিকিম ও ভুটানের পাহাড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার বিভিন্ন মডেল যে ছবি দেখাচ্ছে তাতে এই সময় পাহাড় বা ডুয়ার্সে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তা বাতিল করাই বাঞ্ছনীয় বলে মত আবহাওয়াবিদদের একাংশের।
উত্তর আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যা শক্তি সঞ্চয় করে আগামী ২৯ বা ৩০ মে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে গোটা রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পাহাড়ি এলাকায়।
পূর্বাভাস অনুসারে এই ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের রূপও নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলেও তা অতিগভীর নিম্নচাপ আকারে ভূভাগে প্রবেশ করে পারে। এর জেরে আগামী ২৮ ও ২৯ মে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী ২ জেলা ও বাংলাদেশ সীমান্তলাগোয়া জেলাগুলিতে দমকা হাওয়া ও সঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ের জেলাগুলিতে ঝড়ের দাপট কম থাকলেও হতে পারে প্রবল বৃষ্টিপাত।
এর জেরে আগামী ৩০ ও ৩১ মে প্রবল দুর্যোগ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড় ও ডুয়ার্সে। বিশেষ করে দার্জিলিং, সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী পাহাড়ে বেশ কিছু জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। যার জেরে বিভিন্ন নদীতে দেখা যেতে পারে হড়পা বান। ওই দুই দিন ডুয়ার্সের জেলাগুলিতেও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। তার জেরে ফলে তরাই ডুয়ার্স ও পাহাড়ে আগে থেকেই জারি থাকতে পারে বৃষ্টি।