উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে খড়ের গাদায় তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারে দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত জাহেদুর রহমান হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি সদস্যার স্বামী। নিজেও যুব তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত এলাকায়। সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন - ‘ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলব’, শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
পড়তে থাকুন - 'বসিরহাটের হিন্দুদের অবস্থা সিরিয়ার খ্রিস্টানদের মতো'
গত শনিবার সকালে হেমতাবাদের দোহরাল এলাকায় জ্বলন্ত খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিট্টু ক্ষেত্রীর দগ্ধ দেহ। পাশে পাওয়া যায় তাঁর দগ্ধ স্কুটার। এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে জানা যায় শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ভাতসিয়া এলাকার তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যা দোলেরা খাতুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এর পরই দোলেরা খাতুনের স্বামী জাহিদুর রহমানকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এলাকায় পুরনো গাড়ি কেনা বেচা ও সুদের কারবার করতেন বিট্টু। জাহিদুলের কাছে টাকা পেতেন তিনি। শুক্রবার রাতে সেই টাকা দেওয়ার নাম করে বিট্টুকে বাড়িতে ডেকে পাঠায় সে। এর পর খুন করে দেহ লোপাট করতে খড়ের গাদায় দেহ ফেলে পুড়িয়ে দেয়।
যদিও ধৃতের স্ত্রীর দাবি, আমার স্বামীর ৩ মার্চ থেকে শরীর খারাপ। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এমনকী রক্ত পরীক্ষাও করাতে হয়। শুক্রবার রাতে বিট্টু তাঁকে দেখতে এসেছিল। তার পর সে চলেও যায়। তার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য আমার স্বামীকে ধরেছে পুলিশ। আমার স্বামী বাড়িতেই ছিল। ও খুন করেনি।
আরও পড়ুন - নারায়ণগড় TMC পার্টি অফিসে ‘ধর্ষণ’,মহিলাকে উদ্ধারকারী যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ
অভিযুক্ত জাহিদুরের কঠোর সাজা দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, বিট্টু ব্যবসায় দ্রুত উন্নতি করছিলেন। এলাকার মানুষকে প্রচুর সাহায্য করতেন তিনি। সেই ঈর্ষাতেই তাঁকে খুন করেছে জাহিদুর। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।