বেলডাঙার ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। বেলডাঙায় আলোর বোর্ডে কিছু লেখা ফুটে উঠেছিল। আর সেই লেখাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল তুমুল গণ্ডগোল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর কিছু কম হয়নি। এদিকে তারপর প্রায় একমাস কেটে গিয়েছে। এবার সেই ঘটনায় পুলিশ এক ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃতের নাম সায়ন হালদার। সে কৃষ্ণনগর পলিটেকনিক কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বিরুদ্ধে এবার ভয়াবহ অভিযোগ। সূত্রের খবর, একটি ডিজিটাল বোর্ডে ওই লেখা ফুটে উঠেছিল। একটি একটি বিশেষ কোম্পানির ওই বোর্ড। সেই কোম্পানির অ্যাপও রয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে লেখা বদলানো যায়। সেক্ষেত্রে সন্দেহ করা হচ্ছিল কোনও মোবাইল অ্যাপ থেকে এই লেখা বদলানো হচ্ছিল। কিন্তু কোন মোবাইল থেকে এই লেখা বদলানোর বিষয়টি করা হয়েছিল সেটা খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এরপর দিল্লি থেকে ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারকে পুলিশ ডেকে আনে। এরপর খোঁজ করা হয় ঠিক কোন মোবাইল থেকে এই লেখা বদলানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তার সন্ধান মেলে।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে একেবারে সবদিক খেয়াল রেখেই ওই ছাত্র দূর থেকে ওই অ্যাপের মাধ্যমে লেখা বদল করেছিল বলে অভিযোগ। তবে সেই সময় সে মোবাইলটি ফ্লাইট মোডে রেখেছিল। এরপর ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে নেটের মাধ্যমে সে এই অ্যাপ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে তার হদিশ পেতে পুলিশকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। কারণ যে মোবাইল থেকে এটা করা হয়েছিল তার অবস্থান বোঝা যাচ্ছিল না। তবে পুলিশের একাংশের মতে, ওই ছাত্রের বাড়ি একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়। সে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশ পারদর্শী। অভিযুক্তের কাছ থেকে সব মিলিয়ে পাঁচটি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তবে ওই ছাত্রকে খুঁজে পেতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে। তবে সে কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই কাজ করার কাজে সে একাই যুক্ত নাকি এর পেছনে আর কেউ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে সে বেলডাঙায় বোর্ডের লেখা কিছুক্ষণের জন্য বদলে দিয়েছিল। তার জেরেই ব্যপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়।