জলপাইগুড়ির চা বাগানে চিতাবাঘের হানার পর এবার তাণ্ডব চালাল বাইসন। রবিবার ভোরে দুটি বাইসন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। যেই সামনে এসেছে তার ওপরেই বাইসন দুটি হামলা চালিয়েছে। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। এছাড়াও, আহত হয়েছেন দুজন। এদিন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতকাটা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রায়পুর চা বাগানে বাইসন দুটি তাণ্ডব চালায়।
আরও পড়ুন: জঙ্গল থেকে ৫০ কিমি দূরের গ্রামে তাণ্ডব বাইসনের, গুঁতোয় মৃত্যু প্রৌঢ়ের, আহত ১
জানা গিয়েছে, চা বাগানে এদিন বাইসনের হানায় মৃত বৃদ্ধার নাম দেওমনি বরাইক। রবিবাসরীয় ভোরবেলায় জঙ্গল থেকে দুটি বাইসন রায়পুর চা বাগান এলাকায় ঢুকে পড়ে। ওই বৃদ্ধার বাড়ি বাগান এলাকাতেই। সকাল সকাল তিনি বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। সেই সময় দুটি বাইসন তাঁর সামনে চলে আসে। তবে বৃদ্ধা পালিয়ে যেতে পারেননি। তখন একটি বাইসন বৃদ্ধাকে শিংয়ে করে আঘাত করে আছড়ে ফেলে। পরে বাইসন দুটি চা বাগানের ভিতরে ঢুকে যায়। ঘটনায় বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, চা বাগানের ভিতরে শাহজাহান নায়েক নামে এক বাসিন্দা কাজ করছিলেন। বাইসন দুটি তাঁকে সামনে পেয়ে তাঁর ওপরেও আক্রমণ করে। পরে রঙধামালি এলাকার আরও এক বাসিন্দা বাইসনের হামলায় জখম হন। পরে আহতদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ ও বন দফতর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বাগানের মধ্যেই বাইসন দুটি রয়েছে। ওই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসনদুটিকে কাবু করার চেষ্টা করছেন বন বিভাগের কর্মীরা। কোতয়ালি থানার পুলিশও সেখানে রয়েছে। এদিকে, বাইসন লোকালয়ে ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা। বন দফতরের পক্ষ থেকে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। যাতে কেউ ভিড় না করে। উল্লেখ্য, এলাকাটির কাছেই রয়েছে গৌরিকোণ জঙ্গল। সেই জঙ্গল থেকেই বাইসন দুটি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান। গতকাল একটি চিতাবাঘ ভান্ডিগুড়ি চা বাগানের এক শ্রমিকের ওপর হামলা চালিয়েছিল। যদিও জলপাইগুড়িতে লোকালয়ে বাইসনের হামলা এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে লোকালয়ে হামলা চালিয়েছে বাইসন।