সব ক’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল-বামেরা। ভোটগ্রহণ থেকে ভোটগণনা—গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রাত হয়ে যায়। তবে রাতে আসে ফলাফল। যাতে দেখা যায় ধারে–কাছে নেই প্রধান বিরোধী দল। আর হেরে গেল শাসকদল। আর জয়ের হাসি ফুটল বামেদের মুখে। এই ফল বাড়তি অক্সিজেন বয়ে নিয়ে আসবে। তারা কার্যত ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে।
সমবায় নির্বাচনে জয় পেল বামেরা।(ছবি সৌজন্য ফেসবুক)
আবার একটি সমবায় নির্বাচনে জয় পেল বামেরা। আগেই পলাশিপাড়া, তেহট্ট সমবায় বামেদের দখলে এসেছিল। এবার এল নাকাশিপাড়া সমবায়। এখানের নাগাদি সমবায়ের ৫৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। তার মধ্যে ৩১–২৭ ব্যবধানে বামেরা পরাজিত করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। দেখা যাচ্ছে, বামেরা জিতলেও তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃণমূল কংগ্রেস। সামান্য চারটি আসন বেশি পেয়েছে বামেরা। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল এই নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তারা কার্যত ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে।
এখানে গতকাল, রবিবার নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের নাগাদি কৃষি উন্নয়ন সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। এখানে মোট আসন সংখ্যা ৫৮টি। আর ভোটার সংখ্যা ১,৪৭৯। সব ক’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেরা। ভোটগ্রহণ থেকে ভোটগণনা—গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রাত হয়ে যায়। তবে রাতে আসে ফলাফল। যাতে দেখা যায় ধারে–কাছে নেই প্রধান বিরোধী দল। আর হেরে গেল শাসকদল। আর জয়ের হাসি ফুটল বামেদের মুখে।
ঠিক কে, কি বলছেন? এদিকে এই জয়ের পর সিপিএমের দাবি, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ফল বাড়তি অক্সিজেন বয়ে নিয়ে আসবে। আর এই দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি হতাশ। এই বিষয়ে সিপিএমের নাকাশিপাড়া দক্ষিণ অঞ্চল কমিটির সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল কেমন হবে সেটা নাকাশিপাড়ার ভোটাররা দেখিয়ে দিলেন।’ পাল্টা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, ‘এই ফলাফল প্রত্যাশিত। কারণ অধিকাংশ ভোটার তো আগে থেকেই বামেরা তৈরি করে রেখেছে।’