গত ডিসেম্বরে বাড়ি তৈরির জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ যোজনায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। শর্ত ছিল বাড়ির নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।তারপরেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। মে মাসের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে দেখা যাচ্ছে, অর্ধেকের কম উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ করতে পেরেছেন। আবার অনেকেই নির্মাণের কাজে হাত দেননি। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনগুলিকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। (আরও পড়ুন: 'হাসিনাকে চুপ রাখতে বললে মোদী আমাকে বলেন...', এবার সত্যিটা মানলেন খোদ ইউনুস)
আরও পড়ুন: ‘বেলগাছিয়ার ৯৬টি পরিবারকে ‘বাংলার বাড়ি’ বানিয়ে দেওয়া হবে’, ঘোষণা পুরমন্ত্রীর
গত ১৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা এবং এগিয়ে রয়েছে নদিয়া। নবান্ন নির্দেশ দিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত দফতর এবং বিডিও অফিসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু করবেন। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তা নিয়ে চাপ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকে 'শিক্ষা' দেওয়ার নিদান, নতুন দেশের পক্ষে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, নবান্নের নির্দেশ ছিল প্রথম পর্যায়ে অর্থাৎ প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকায় ‘লিন্টেল’ পর্যন্ত নির্মাণ করতে হবে। তারপরে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ ছাড়া হবে। দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি ৬০ হাজার টাকা মে থেকে দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। কিন্তু, এখন এপ্রিল মাস প্রায় শেষের দিকে। এই অবস্থায় এত কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বাকি নির্মাণ কাজ হবে তা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন। (আরও পড়ুন: সিন্ধুর জলের চিন্তায় মাথা হাত, দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে পাকিস্তানি মন্ত্রীর আরও এক ঘোষণা)