আজ, রবিবার জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা–ছেলের বাড়িতে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। মুর্শিদাবাদে কদিন আগে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তাতেই বাবা–ছেলে খুন হয়েছিলেন। এই নিয়ে বিরোধীরাও সোচ্চার হয়ে ওঠে। যদিও আধা সেনা এবং পুলিশ লাগাতার টহল দিয়ে এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে এনেছেন পরিবেশ। এই বাড়িতে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। আগামীকাল সোমবার এইসব এলাকায় আসার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তার আগে রবিবার হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের বাড়িতে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। এখানে এসে বাড়ির বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চান তাঁরা।
এই হিংসার ঘটনার পর সিট গঠন করা হয়। ফরেনসিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, বহিরাগত আততায়ীরা এই হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে নিজেদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়নি। কিন্তু মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির মধ্যে পড়ে খুন হন হরগোবিন্দ এবং চন্দন দাস। তাঁরা সম্পর্কে বাবা–ছেলে। এই ঘটনা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। আর যাঁদের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে তাঁদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে তা করে দেবেন বলে ঘোষণা করেন। রবিবার সকালে এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে দাঁড়াতে চাইল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: ‘মঞ্চ সিপিএমের, ভোটার বিজেপির, মুখোশধারী রামবামের ব্রিগেড’, কটাক্ষ কুণালের
এই পরিবারে এসে সাংসদ–বিধায়কের সঙ্গে কথা হয় সদস্যদের। বাবা–ছেলের খুনের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন দুই সাংসদ ও এক বিধায়ক। আর একই সঙ্গে বাড়ির সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চান সাংসদ–বিধায়করা বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পরিবারের সদস্যরা সব শুনেছেন। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানাননি। যে কোনও সমস্যায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য যাতে তাঁরা নেন ফিরিয়ে না দেন তার অনুরোধও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ, সূতি–সহ নানা এলাকা। এই অশান্তি চলার সময় জাফরাবাদে খুন হয় বাবা–ছেলে। বাড়ি থেকে টেনে বের করে তাঁদের খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই খুনের ঘটনায় আজ, রবিবারও একজন গ্রেফতার হয়েছে। সুতরাং ধৃতের সংখ্যা মোট দাঁড়াল চারজন। এই সমস্ত গ্রেফতারই করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর স্থানীয় সাংসদ খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে বহিরাগতদের তথ্য পেয়েছি। পুলিশকেও বিষয়টি জানিয়েছি।’