ডিএ আন্দোলনের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখানে যাঁরা কো-অর্ডিনেশন কমিটির আছেন, তাঁরা তো কাজই করেন না। তাঁরা তো শুধু বসে বসে খায়। সরি। আমি কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ফেডারেশনের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে চাই না। কিন্তু সেদিন আমি দেখতে গিয়ে তো দেখলাম। সব ফাইলগুলো ফেলে রেখেছে - গাদা-গাদা।’
কো-অর্ডিনেশন কমিটির বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বাঁদিকে), আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই এবং ফেসবুক)
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) আন্দোলনের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন কমিটির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করলেন, 'কো-অর্ডিনেশন কমিটির' রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা শুধু ‘বসে বসে খায়’, ‘কোনও কাজই করে না।’ সেইসঙ্গে মমতার অভিযোগ, বিজেপির একটি অংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ডিএ নিয়ে বিক্ষোভ চালাচ্ছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। 'ওরা কোথাও কুস্তি করে, কোথাও দোস্তি করে।’
প্রবল দাবদাহ নিয়ে একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে (সিদ্ধান্তটা) সর্বপ্রথম নেওয়া উচিত, সেটা আমরা ইতিমধ্যে নিয়ে নিয়েছি। আমরা যদি সবাইকে ছুটি দিয়ে দিই, তাহলে আপনাদের চিকিৎসা কে করবেন? বাড়িতে খাদ্য দেবেন কে? জল দেবেন কে? এখানে যারা কো-অর্ডিনেশন কমিটির আছেন, তারা তো কাজই করে না। ওরা তো শুধু বসে বসে খায়। সরি। আমি কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ফেডারেশনের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে চাই না। কিন্তু সেদিন আমি দেখতে গিয়ে তো দেখলাম। সব ফাইলগুলো ফেলে রেখেছে - গাদা-গাদা।’
সেখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে বিক্ষোভ-অবস্থান করেছেন, তা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকারে কালিমালিপ্ত করতে কো-অর্ডিনেশন এবং বিজেপির একটি অংশ বিভিন্ন কাজ করছে। মমতার কথায়, ‘ওরা এখন ওখানে কুস্তি করে, দোস্তি করে। কোথাও কুস্তি করে, কোথাও দোস্তি করে।’
তবে এই প্রথম কো-অর্ডিনেশন কমিটির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন না মমতা। গত মাসের শেষলগ্নে মমতা বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে এই চাই, ওখানে গিয়ে ওই চাই (করে বেড়ান)। চোর-ডাকাতগুলো। যে চোর-ডাকাতগুলোর লিস্ট....(কথা শেষ করার আগেই শশী পাঁজার থেকে তালিকা চেয়ে নেন)। এমনিতে চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সব গিয়ে বসে আছে ওখানে, ডিএয়ের ওখানে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে। জ্ঞানদাতারা, চোরেরা, ডাকাতরা, ডাকাত সর্দাররা।’
মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পরই প্রতিবাদে সোচ্চার হন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ৬ এপ্রিল কর্মবিরতিরও ডাক দেন তাঁরা। সেইসঙ্গে ডিএয়ের দাবিতে আন্দোলন চালাতে থাকেন সরকারি কর্মচারীরা। ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দিয়েছেন তাঁরা।