ওই গলির কোথাও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা না থাকায় তরুণীর দেহ ফেলে যাওয়া সহজ হয়েছে। তার উপর গলির মধ্যে সব আলো জ্বলে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, সন্ধ্যা নামলেই গলি অন্ধকারে ঢেকে যায়। তাই এখানে জমে ওঠে তরুণ প্রজন্মের প্রেম–পর্ব। ওই তরুণীর সঙ্গেও প্রেমিক রাহুলকে খুনের অনেক বার আসতে দেখা গিয়েছে।
Ad
কৃষ্ণনগর থানা
কৃষ্ণনগরে প্রেমিকাকে খুন করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। তবে খুন করার পর ওই প্রেমিকাকে দুর্গাপুজো মণ্ডপের সামনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। প্রেমিককে গ্রেফতার করা হলেও এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায় এলাকায়। আর তারপরই কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামের ঠিক পিছনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন পাড়া। সেটি অন্ধকারে ঢেকে থাকত। কারণ পথবাতিগুলি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে এই ঘটনার পর সেগুলি মেরামত করে আলো ঝলমলে পরিবেশ তৈরি করা হল। আর একইসঙ্গে এবার সরানো হল তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে।
যেখানে দেহটি মিলেছিল সেটা একেবারেই গলিপথ। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিশ সুপারের অফিস। তার সঙ্গে আছে সরকারি অফিসারদের আবাসন। কিন্তু সেখানে নেই সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা। নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও। অধিকাংশ পথবাতি খারাপ হয়ে পড়ে আছে। যার ফলে সন্ধ্যায় সেখানে আলো জ্বলে না। ওই গলি অন্ধকারেই ঢেকে থাকত। কিন্তু তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর সেগুলি তড়িঘড়ি বদলানো এবং মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে কোতয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর সুমিত দে’র বদলে তদন্তভার দেওয়া হয় ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার কৌশিক সাউকে। সুতরাং বদল হল তদন্তকারী অফিসার।
ওই তরুণীর দেহ যেখানে মেলে সেখান থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব কমপক্ষে ২০০ মিটারের মধ্যে। গলির একপাশে জেলা স্টেডিয়ামের পাঁচিল। আর এক পাশে বাসস্থান। ওই গলির মধ্যেই সামান্য জায়গায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। ওই মণ্ডপেই পাওয়া গিয়েছিল অর্ধদগ্ধ দেহ। ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়। এই খুনের ঘটনায় তরুণীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে শুরু করা হয়েছে তদন্ত। যদিও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা।