ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বরং তাঁকেই আবার বিভাগীয় প্রধান করা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যও করা হয়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। আর সেই শিক্ষক বহাল তবিয়তে ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন। ফলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন অভিযোগকারী ছাত্রী। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নির্যাতিতা ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এমন একজন শিক্ষককে কেমন করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল তা নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে কি ওই শিক্ষক প্রভাবশালী? কেন পদক্ষেপ করা হল না? শাসকদলের নাকি রাজ্যপালের কার কাছের লোক ওই শিক্ষক? উঠছে প্রশ্ন। ওই ছাত্রী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করছিলেন। ২০২২ সালে কল্যাণী থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রী। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলা–সহ ১৮ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব সুপ্রিম কোর্টের, গরহাজিরায় গ্রেফতারি পরোয়ানা
তারপর ঠিক কী হল? ছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তদন্তে নামে। আর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ পায়। তখন ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক প্রভাব খাটিয়ে সাসপেন্ড আটকে দেয় এবং আরও ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। এই বিষয়ে ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি তদন্ত করে বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়কে (শিক্ষক) ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়নি। বরং ক্ষমতাবলে বিভাগীয় প্রধান করা হয় তাঁকে। এমনকী একজিকিউটিউ কাউন্সিলের সদস্য করা হয়।’